কর্পোরেট ডেস্ক: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সাসটেইনেবিলিটি রেটিংয়ে আইপিডিসি ফাইন্যান্স স্থান পেয়েছে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের তালিকায়।
কয়েকটি বিবেচ্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই রেটিং প্রদান করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) কার্যক্রম, গ্রিন রিফাইন্যান্স, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি এবং ব্যাংকিং সার্ভিসেস কাভারেজ। প্রতিটি নির্ধারকে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স আইপিডিসিকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
আইপিডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস এই প্রাপ্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এই স্বীকৃতির জন্য এবং ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে সাসটেইনেবিলিটির চর্চাকে উৎসাহিত করতে আমাদেরকে পথপ্রদর্শন করায় ও নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক-এর প্রতি জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে শুধু পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ না বরং আমাদের প্রতিটি কাজের মধ্যে সাস্টেইনেবিলিটির চর্চাকে সমন্বিত করার মাধ্যমে আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি। আমরা আমাদের সীমাহীন প্যাশনকে অব্যাহত রেখে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।”
সাসটেইনেবিলিটির চর্চার প্রতি আইপিডিসি’র যে স্ট্র্যাটেজিক প্রাধান্য রয়েছে তা এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়। পরিবেশবান্ধব ইনোভেটিভ গ্রিন ফাইন্যান্সিং সল্যুশন প্রদান, গ্রিন রিফাইন্যান্সকে আরও উৎসাহিত করা ইত্যাদি আইপিডিসি’র নিয়মিত কার্যপ্রক্রিয়ার অংশ। তবে এই রেটিং থেকে প্রতিফলিত হয় যে, এর বাইরেও আইপিডিসি’র স্ট্র্যাটেজিক ফোকাসে রয়েছে সিএমএসএমই’র প্রবৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতা, তারল্য, মূলধন পর্যাপ্ততা, খেলাপি ঋণ, ক্রেডিট রেটিং, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ইত্যাদি।
১০টি ব্যাংক এবং আইপিডিসি ব্যতীত আরও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সাসটেইনেবিলিটি রেটিং-এ স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই স্বীকৃতি সাসটেইনেবিলিটি, ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন এবং আর্থিক খাতে বেঞ্চমার্ক সৃষ্টিতে আইপিডিসি’র আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রতিফলনস্বরূপ।