সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: বর্তমানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে চলনবিলের খালে বিলে বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলনবিলাঞ্চলে চলছে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনে মহোৎসব। যাকে বলে পীরের মাছ।
স্থানীয়রা জানান, চলনবিলে বর্ষার আগমণে খালে পানিতে আসতে শুরু করেছে। এ সময় কম পানিতে ডিমওয়ালা বড় বড় বোয়াল মাছ ডিম ছাড়ার জন্য পানির মধ্যে লাফালাফি করে। তখনই প্রতিনিয়ত মাছ শিকারী যুতের সাহায্যে পার দিয়ে কৌশলে হাত বন্দী করে। কারণ ডিম ছাড়ার জন্য বড় মা বোয়াল মাছ উপরে উঠে আসে। পাশাপাশি ছোট (পুং) মাছ বড় মাছের ডিম থলিতে কামড়ে দিলে বড় মা মাছের ডিম নিঃসরণ হয়। মূলতঃ মা মাছের ডিমের কামড়েই উপরে উঠে মাছ শিকারীর হাতে ধরা পরে। এটিকে চলনবিলের আঞ্চলিক ভাষায় “পীরের মাছ”বলে থাকে।
উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন দলবেধে এ অঞ্চলের মানুষ, চলনবিলের খালে গিয়ে বড় বড় বোয়াল মাছ ধরছেন। একেকটা মাছের ওজন ৪ কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত । শনিবার (২২জুন) সকালে শ্যামপুর গ্রামের মো আশিকুর রহমান নয় কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ধরেছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮শত টাকা কেজি দর।
এছাড়া হামকুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মাছ শিকারী আব্দুল মালেক জানান, শনিবার সকালে তিনি ১০কেজি ওজনের একটা ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ (পীরের মাছ) ধরেছেন। পরে গ্রামেই সেই পীরের মাছ ৮শত টাকা কেজি দরে বিক্রী করেছেন। তিনি মাছটি ধরেছেন হাটিকুমুরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৮নং ব্রীজ এলাকায় চলনবিলের খালে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: মশগুল আজাদ জানান, ডিমওয়ালা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। অভিযান অব্যহত থাকবে।