জাকির হোসেন আজাদী: যশোর শিক্ষা বার্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা নায়েম- এর সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ নাজমুল হক এর প্রয়ান দিন আজ। তিনি ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর নিজ গ্রামের বাড়ীতে (ফরিদপুর জেলার ঘোপঘাট) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী কামরুন হকসহ দুই মেয়ে ও দুই জামাতা, তিন নাতী ও এক নাতনী (নাভিদ, সারিতা, আইয়ান ও সারথ)কে রেখে যান । তাঁর বড় মেয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সোমা হক। যিনি সংস্কৃতি অঙ্গনে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। ছোট মেয়ে মৌসুমী হক ইউএসএতে শিক্ষকতা করছেন।
খ্যাতিমান শিক্ষাবীদ প্রফেসর মুহাম্মদ নাজमूल হক এর জন্ম ফরিদপুর জেলার ঘোপঘাট গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত বংশীয় মুসলিম পরিবরে। তাঁর পিতা মরহুম মাজহারুল হক ও মাতা ফাতেমা হক। তাঁর অন্য তিন ভাই ও বোন হলো- সিরাজুল হক, আজিজুল হক, আশরাফুল হক ও বোন ফজিলা হক। তাঁরা সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সমুজ্জল।
প্রফেসর মুহাম্মদ নাজमूल হক মাত্র চার বছর বয়সে বাবাকে হারান। এর পর থেকে মায়ের কাছেই তাঁর বেড়ে ওঠা। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। কাংখিত ভালো রেজাল্ট করে স্কুল এবং কলেজ জীবন শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন গণিত বিষয়ে। সেখানেও অত্যন্ত ভালো রেজাল করে স্কলার্শিপ নিয়ে এম.এস ডিগ্রী লাভের জন্য চলে যান লন্ডন ম্যানচেষ্টার ইউনিভসিটিতে। এখানে অধ্যায়নরত অবস্থায় তাঁর মা ( ফাতেমা হক ) মারা যান । লন্ডন থেকে ফিরে এসে তিনি প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন সরকারী ঢাকা কলেজের অধ্যাপনা দিয়ে।
তিনি দাম্পত্য জীবনে রাজশাহী জেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মো: আব্দুল কাদীর ও গুল নাহার কাদীরের মেঝ মেয়ে কামরুন্নাহারকে বিয়ে করেন।
সরকারী ঢাকা কলেজে অধ্যাপনার পরে তিনি খুলনা সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রথমে অধ্যাপনা ও পরে প্রিন্সিপাল হন। এরপর তিনি যশোর শিক্ষা বার্ডের চেয়রমান, ঢাকা নায়েম- এর মহাপরিচালক হন। তিনি তাঁর কর্মক্ষেত্রের প্রত্যেকটি স্থানে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনাম অর্জন করেন। তাঁর সহকর্মীদের মুখে আজও তাঁর প্রশংসার স্মৃতিচারণ করতে দেখা যায়।
আজ এই মহান শিক্ষাবীদের মৃত্যুবার্ষিকিতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁকে বেহেশতের উঁচু মাকাম দান করুন, আমীন।