October 8, 2024 - 8:17 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআইন-আদালতডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন হচ্ছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন হচ্ছে

spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ সংশোধনী আনা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’।

সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিট অ্যাক্ট নামে একটি আইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে না, নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর অনেকগুলো ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন একটি আইন করা হবে- মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মানহানির অভিযোগ কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল। নতুন আইনে সেখানে পরিবর্তন এনে কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার বিধান করা হবে।

দেওয়ানি মামলায় যেভাবে জরিমানার বিষয়গুলো আছে, সেভাবেই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিষয়গুলো থাকবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও দমনে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়। একই বছরের ৮ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। শুরু থেকেই আইনটির অপব্যবহারের জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়।

আইনটিতে বলা হয়, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করলে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে পুলিশ পরোয়ানা বা অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি, জব্দ এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে।

আইনে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়। ফলে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করা হয়, বা প্রকাশ করে বা কাউকে করতে সহায়তা করে ওই আইন ভঙ্গ করলে এই আইনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা হতে পারে, ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

আইন অনুযায়ী ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার নামে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালালে বা মদদ দিলে অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

লেখক, কবি, সাংবদিক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন ধরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের মতে আইনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে বহুবার আইনটি সংশোধনের আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি।

তবে গত ২৫ জুলাই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে এ সংশোধনী জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ