নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দলটি আগামী নির্বাচনে কতজন পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে এবং আবেদনের সময়সীমা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, যতজন ইচ্ছা পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন, এক্ষেত্রে ইসির কোনো লিমিটেশন নেই। আর পর্যবেক্ষক পাঠানোর আবেদন সেপ্টেম্বরের মধ্যে করলে সুবিধা হয়।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব জানান, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সক্ষম কি না জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে তারা।
ইইউ প্রতিনিধি দল কোনো শর্ত দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আমাদের পরিস্থিতি দেখেছেন। আমাদের প্রস্তুতি দেখেছেন। যত খুশি পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবেন, তাতে কোনো লিমিটেশন নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ৯১১টা নির্বাচন আয়োজন করেছে। সেসব নির্বাচন নিয়ে ইইউর প্রতিনিধি দল সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ইইউর প্রতিনিধি দলটি আমাদের কাছে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। ভোটার সংখ্যা কতজন, নারী ও পুরুষ ভোটার কত, সিসিটিভি স্থাপন এবং পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তারা যা যা জানতে চেয়েছেন আমরা তা জানিয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে দুই পক্ষের টেকনিক্যাল টিমের সমন্বয়ে আরও একটি বৈঠক হবে।
বৈঠক শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের প্রধান চেলেরি রিকার্ডো বলেন, প্রাক নির্বাচনী পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর তারা সিদ্ধান্ত নেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহের সফরে এসেছি। আমরা প্রাক-নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবো। তার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি পাঠাবে না সেই সিদ্ধান্ত হবে।
গত রোববার ভোরে ঢাকায় আসে ইইউ প্রতিনিধি দল। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিশেষজ্ঞ হিল্লেরি রিকার্ডোর নেতৃত্বে দুই সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের কাজ করবেন তারা। আগামী ২৩ জুলাই তাদের বাংলাদেশ সফর শেষ হবে। ইইউ প্রতিনিধি দলটি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবে।
আরও পড়ুন:
স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
নির্বাচন নিয়ে কথা বলা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র