জাকির হোসেন আজাদী: চাকুরীতে পুনর্বহলের দাবিতে বাপেক্সের আউট সোর্সিং কর্মচারিরা বুধবার (৪ জানুয়ারি) কাওরান বাজার বাপেক্স অফিসের সামনে মানববন্ধন করে। সেখানে কর্মচারিদের পক্ষে মো: বেল্লাল হোসেন গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য এক লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। যেখানে তিনি তাদের দাবি মেনে না নিলে আদালতে মামলা দায়ের করা ও কঠোর আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মো: বেল্লাল হোসেন বলেন, ” আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স)-এ ৬৩ জন জনবল বিভিন্ন পদে আউটসোর্সিং হিসেবে প্রায় ১৭ মাস অত্যন্ত দক্ষতার সহিত অফিসে কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলাম। বিগত ৪/৭/২০২২ তারিখ হঠাৎ করে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আমাদের চাকুরী হতে বের করে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, “চাকুরী চলে যাওয়ার পরে পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘ ০৬ মাস অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমাদের প্রত্যেকের সাথে ০৪/০৫ জন পরিবারের সদস্য সংসারে জড়িত। আমাদের আয়ের উপর নির্ভর করে প্রায় ৩০০ টি জীবন বর্তমানে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধবগতির বাজারে বৃদ্ধ বাবা মা/ছোট বাচ্চাসহ অর্ধহারে/অনাহারে জীবন যাপন করে আসছি। আউট সোর্সিং-এর উপর লোকবল নিয়োগের মহামান্য আদালত আপীল ডিভিশন হতে ৬/১২/২০২২ তারিখে একটি রায় দিয়েছেন (কেচ নং- ৬৬৬/২০২২)। মামলা চলমান অবস্থায় বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আলী ও বাপেক্সের জিএম প্রশাসন মো: আবুল বাশার ভুক্তভোগীদেরকে মামলা নিস্পতি হওয়ার পরে চাকরী পুনরায় বহাল রাখবে মর্মে একাধিকবার মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।”
তিনি বলেন, “মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরই বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আলী তাঁর পূর্বের প্রতিশ্রুতি না রেখে পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অমান্য করে নিজের ক্ষমতাবলে আমাদেরকে (৬৩ জন) কে বাদ দিয়ে নতুনভাবে ১৪২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। শোনা যায় এই ১৪২ জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, পেট্রোবাংলার অন্যান্য আরও ১৩ প্রতিষ্ঠানের সব গুলোতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা কাজ করছেন। তাদেরকে বাদ দেয়া হয়নি। তাহলে শুধুমাত্র বাপেক্স থেকে কেনো আমাদের বাদ দেওয়া হলো। আমারা আমাদের চাকুরি অনতিবিলম্বে পুনর্বহল চাই”।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মো: ইকবাল হোসেন, মো: ওয়াহিদুজ্জামান শামীম, মো: কামরুজ্জামান, মো: হেলাল হোসেন, মো: বাবুল মিয়া, মো: আমীর হোসেন ও মো: শামীম হোসেনসহ প্রায় ৫০/৬০ জন আন্দোলনরত কর্মচারী।