এফ এইচ ফারহান : আজানের ধ্বনির অপেক্ষা। খেঁজুর দিয়ে শুরু করবো ; সাথে লেবুর শরবত ! বেশীরভাগ ইফতারি আম্মা নিজ হাতে প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে হালকা-পাতলা খাবার দিয়ে শুরু করা উচিত। টেবিলে হরেক রকমের ইফতারি সাজানো। সামনে রাখা বেশ কয়েকটি ইফতার উপকরণের বাহ্যিক ধরণ একটু ব্যতিক্রমধর্মী মনে হলো। জানতে পারলাম, সেগুলো প্রতিবেশীর ঘর থেকে এসেছে। নতুন বউয়ের বাপের বাড়ির ইফতারি। প্রথমদিকে বুঝতে একটু সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে ব্যাপারটির সাথে পরিচিত হতে থাকি। কেউ বলেন- এটা পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য, কেউ বলেন ইসলামিক রীতি, কেউ বাঙালি সংস্কৃতি অথবা কারো মতে সিলেটী সংস্কৃতি। মুরব্বীদের মাধ্যমে জানা যায়, সুদীর্ঘকাল ধরে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রচলিত এই নিয়ম পালিত হয়ে আসছে। সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে বিষয়টিকে বেশ স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্যই মনে হয়। কনের বাড়ির চার-পাঁচজন লোক ইফতারি নিয়ে আসেন, সেইসাথে নিকটস্থ প্রতিবেশীরাও ছোটখাটো আকারে একটা দাওয়াত পান। ফলে মোটামুটিভাবে একটা আত্মীয়সুলভ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে, এ কেমন রীতি যেখানে একতরফাভাবে কনেপক্ষকে জুলুমের শিকার হতে হয়?
ক্ষেত্রবিশেষে প্রযোজ্য হলেও কথাটি বেশ কঠিনই মনে হচ্ছে। তাছাড়া সমাজের যারা শশুরবাড়ির ইফতারি প্রথাটিকে বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট, এই লেখাটির মাধ্যমে তাদের তিরস্কৃত হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশী। এক্ষেত্রে প্রথমেই বলে রাখি, এই লেখাটির উদ্দেশ্য দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত শশুরবাড়ীর ইফতারি সংস্কৃতিকে অপমান করা নয় ; বরং এই প্রথার মধ্যে আন্তরিকতা এবং উচ্চ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো। রমজান মাসে কনেপক্ষের জন্য মেয়ের শশুরবাড়িতে ইফতারি পাঠানোকে অনেকটা ফরয কাজ বলা যায়। ইফতারি পাঠানোর বাজার জমে ওঠে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। নতুন আত্মীয়তা হলে প্রথম রমজানেই মেয়ের শশুরবাড়ীতে একতরফা ইফতার সামগ্রী পাঠানো হয়, যেখানে অধিকাংশই নিজ হাতে তৈরি ; আবার পরবর্তীতে দশ-পঁচিশ রমজানের মধ্যে বেশ বড় বাজেটে আরেকদফায় ইফতারি পাঠাতে হয়। ফরয বলাটা এজন্য যে, শশুরবাড়ির ইফতারি না পাঠালেই নয়। নতুন বউয়ের ক্ষেত্রে প্রথম রমজান থেকেই শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। প্রথম রমজানে কনের বাড়ি থেকে ইফতারি না আসলে অথবা দুই একদিন বিলম্ব হলে নতুন বউকে শুনতে হয় কটু কথা। প্রতিবেশীরা নতুন বউকে নিয়ে শুরু করেন ইতিহাস রচনা। ভালো-মন্দ আরো কত কি ; কারো কারো মতে এই বুঝি মহাভারত অশুদ্ধ হলো !
দ্বিতীয় দফার ইফতারির ওপর নতুন বউয়ের ইমেজ নির্ধারিত হয়। কোন বাড়ির কোন বউয়ের ইফতারি ভালো মানের, কোন বউয়ের ইফতারি এক ট্রাক আসলো, কোন বউয়ের তিন ট্রাক – সবমিলিয়ে বিষয়টা প্রায় এমনই যে, যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া-পড়শীর ঘুম নাই।
নতুন বউ পুরাতন হয়ে গেলেও আলোচনা সমালোচনার এই ধারা অব্যাহত থাকে। এক ঘরে ৫ বউ থাকলে তো প্রতিযোগিতা আরো জমে ওঠে। বড় বউয়ের ইফতারি আগে আসবে নাকি ছোট বউয়ের, আসলেও কার ইফতারির বাজেট কত হবে, কোন বউয়ের ইফতারি আসলে ১০ ঘরকে দাওয়াত করা হবে-কোন বউয়ের ইফতারিতে ৪০ ঘরকে, কার বাপের প্রতিপত্তি কত বেশী ; এ যেন ইফতারির প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হওয়ার এক প্রাণপণ লড়াই। সকল দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে যারা পাড়া-পড়শীর আলোচনা সমালোচনার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হোন, তাদের শশুরবাড়ির নাম পুরো এলাকাজুড়ে প্রশংসিত হয়। এই পরীক্ষায় পাশ করাটা সত্যিকার অর্থেই প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষায় পাশ করার চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন। কিভাবে কঠিন, সেই ব্যাখা বিশ্লেষণে পরে আসছি। তার পূর্বে আরো দুই-একটি বিষয় স্পষ্ট করা যাক।
প্রথমত, নতুন কনের ক্ষেত্রে উভয়দিক হতে চিন্তা করলে আপনি যদি কনের পিতা হোন ; তাহলে মনে মনে ভাববেন– আপনার মেয়ে এতদিন আপনার সাথে ঘরের খাবার খেয়েছে, নিজের পরিবারের সকলের সাথে ইফতার করেছে। এখন সে কিভাবে নতুন পরিবেশে সবার সাথে খাপ খাইয়ে নিবে? অন্যদিকে জ্যামিতিক ক্যালকুলেশনে আপনি বরের পিতার জায়গায় অবস্থান করে যদি কনেপক্ষের তরফ থেকে ইফতার সামগ্রী গ্রহণ করেন ; তার অর্থ আপনি স্বীকার করলেন যে, মেয়েটা সত্যিই নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে অক্ষম। যদিও মেয়ের পক্ষ থেকে ইফতারি আসে সবার জন্যই কিন্তু পরিবারের সবাই খেয়েও উদ্ধৃত থাকে অনেক এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা অপচয়ের রূপ লাভ করে। রহমতের ১০ দিনের শুরুতেই শয়তানের ভাইয়ের ভূমিকা পালন করলেন?
আমার প্রশ্নটা ভিন্ন জায়গায়। এতদিন যেহেতু মেয়েটা বাপের বাড়িতেই ছিল, সবসময় নিজের মা-বাবার সাথে সে ইফতার করেছে এবং সেখানকার পরিবেশের সাথে সে ভালোভাবে পরিচিত ; নতুন বৌমার যখন এতই কদর তাহলে কেন আমরা নতুন বউকে প্রথম রমজানে বাপের বাড়িতে পাঠাবো না, এখানেও তো উন্নত মানসিকতার পরিচয় দেখানো যায়। বাকী রমজানগুলো যেহেতু সে বরের বাড়িতেই ইফতার করবে তাহলে প্রথম রমজানে কেন সে বাপের বাড়িতে ইফতার করতে পারবে না? এতে বুঝি আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এটা ভেবে যে, নতুন বউ কে প্রথম রমজানে কোন দুঃখে বাপের বাড়িতে পাঠাবো? লোকে কি বলবে? প্রথম রমজানে তো সে আমাদের সাথে ইফতার করবে, আমাদেরকে জানবে, আমাদেরকে বুঝবে, আমাদেরকে তার নিজের পরিবারের মতো গ্রহণ করবে। এমন হলে, কেন নয় সেটা আপনার নিজের হাতে বানানো ইফতারি দিয়ে? প্রয়োজনে আপনি সেখানে নতুন বউয়ের বাপের বাড়ির লোকজনদেরও আমন্ত্রণ করলেন, পাশাপাশি ঘনিষ্ট পাড়া-পড়শীদের দাওয়াত করলেন। এতে কি আন্তরিকতার ঘাটতি দেখা দেয়? আরো চাইলে কনে এবং নিমন্ত্রিত কনের বাপের বাড়ির লোকজন, আপনার প্রতিবেশীসহ সবাই মিলে একসাথে আপনার বাড়িতেই ইফতারের আয়োজন করতে পারেন। এক্ষেত্রে তো নতুন বউয়ের নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে সমস্যা হওয়ার কথা না, বরং সে আরো সহজভাবে নিজের নিমন্ত্রিত পিতামাতা সহ সবার সাথে মিশতে পারবে। যুক্তিটা কি নতুন কনের বাপের বাড়ির ইফতারি দিয়ে নিজের বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করার চেয়ে উত্তম নয়?
শশুরবাড়ির ইফতারি দিয়ে নিজের বউকে নিজের বাড়িতে ইফতার করালে নতুন জামাইয়ের আত্মসম্মানবোধের বারোটা বাজবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?
অন্যদিকে কনেপক্ষ যদি নতুন জামাইকে ইফতার করাতে চান, তাহলে কনের বাড়িতেও তো পরিবার সহ নতুন জামাইকে আমন্ত্রণ জানানো যায়। জামাইকে ইফতার করাতে মেয়ের শশুরবাড়িতে ইফতারি পাঠানো- ব্যাপারটা অনেকখানি ঘোলাটে হয়ে গেলো না !
আমরা নির্বিকার, অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্তির আশায় আমরা নিজেদের আত্মসম্মানবোধ হারিয়ে ফেলি এবং কনেপক্ষ থেকে লোকজন আসে ঠিকই। কিন্তু আসে দায় মিটাতে, নতুন বিয়াই-বিয়াইনকে ইফতারি খাওয়াতে, নিজে পারুক বা না পারুক অন্যের পেট ভরাতে ; এটা কি অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে না ?
এই প্রথাটি তখনই গ্রহণযোগ্য হতো যখন ইফতারির আদান-প্রদানটা উভয়পক্ষ থেকে হতো এবং সেটা হতো ইচ্ছানুযায়ী ; সামাজিক প্রথার দায়বদ্ধতা থেকে নয়। এখন আপনি বলতে পারেন আপনার শশুরবাড়ি থেকে ইফতারি আসে পুরোপুরিভাবেই তাদের ইচ্ছানুযায়ী, এখানে সামাজিক দায়বদ্ধতার কিছু নেই। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ভালো হোক অথবা খারাপ ; যেকোনো প্রথা কিংবা সংস্কৃতি সমাজের আনুকুল্য পেয়েই প্রসারিত হয়, বিকশিত হয় এবং তার মাধ্যমে অন্যরাও প্রভাবিত হয়। সংস্কৃতি যখন অপসংস্কৃতির অবস্থান দখল করে তখন অনেক পিতামাতাকেই মেয়ে বিয়ে দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার জালে নিজেদের আবদ্ধ করতে হয়। রমজান মাসে সময়মতো ইফতারি পাঠাতে না পারলে অসহনীয় কথা শুনতে হয় নতুন বউকে, সহ্য করতে হয় মানসিক অত্যাচার, এমনকি কতিপয় ক্ষেত্রে আজকাল যৌতুকের মতো ইফতারির জন্যও মেয়েদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হতে হয়, আজীবনের জন্য অবহেলার পাত্রী হতে হয়, বিগত বছরগুলোতে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের দুই-একটি মৃত্যর ঘটনাও আমাদের সামনে পরিলক্ষিত হয়েছে।
তাছাড়া নিজেদের ব্যর্থতা ঢেকে রাখতে এমন অনেক হৃদয়স্পর্শী নির্যাতনের ঘটনাকে আমরা কালো পর্দার আড়ালে ঢেকে রেখেছি। উপায় না পেয়ে অনেক নববধূর অসহায় পিতাকে ইফতারি পাঠানোর জন্য অর্থের তাগিদে অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার নিতে হয়, গরু-ছাগল বিক্রি করতে হয়, ঘরের চাল বিক্রি করতে হয়, জমি বন্ধক রাখতে হয়, ভিক্ষা করতে হয়, নিজের রক্ত বিক্রি করে মেয়ের নতুন পরিবারকে খুশী রাখতে হয়। ইফতারির আয়োজনে ঘাটতি দেখা দিলে নতুন কনের পাশাপাশি কনের পিতাকেও শুনতে হয় ঘুরানো পেঁচানো অনেক জটিল কথা। এটা কি জুলুম নয়? আপনার আনুকুল্য পেয়েই যে প্রথা সমাজে বিকশিত হচ্ছে তার প্রভাবেই কি কনেপক্ষ একতরফাভাবে জুলুমের শিকার হচ্ছে না?
অপরদিকে বিত্তবানদের বিলাসিতা যখন গরীবের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়ায়, তখন সেই বিলাসিতাকে অভিশাপ বলাটাই শ্রেয়। উল্লেখ্য, রমজান মাসে অথবা অন্য যেকোনো সময়ে কনেপক্ষকে একতরফাভাবে বরের বাড়িতে ইফতারি পাঠাতে হবে, এমন কোনো বিধান ইসলামে নেই এবং বড় আলেমগণ ইফতারির এই ভ্রান্ত সংস্কৃতিকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রথা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পাশাপাশি ইসলাম এমন কোনো বিষয়ের অনুমোদন দেয় না, যা দ্বারা মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্পষ্টত শশুরবাড়ির ইফতারি প্রথাটিতে গুটিকয়েক সুবিধাভোগীরা উপকৃত হলেও মানবসম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ধাপে ধাপে মানুষের মূল্যবোধ অধঃপতিত অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজও মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে একশ্রেণির পিতামাতার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায় এসব কারণেই। এই কুপ্রথাকে কেন্দ্র করেই জমে ওঠে স্বার্থলোভীদের রমরমা ব্যবসা । সুবিধাভোগীদের প্রতিনিধিত্বে টিকে থাকা একটি সমাজ যখন ভুল সংস্কৃতি চর্চা এবং কুশিক্ষায় জর্জরিত থাকে, তখন সেই সমাজের প্রথা বা রীতি কতটুকু সঠিক হবে সেটি সহজেই অনুমান করা যায়। আমার পূর্বপুরুষগণ যৌতুক কিংবা শশুরবাড়ির ইফতারির মতো প্রথাগুলোকে ধরে রেখেছেন বলে আমাকেও ধরে রাখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমাকে অবশ্যই যেকোনো প্রথার ভালো দিকের পাশাপাশি অন্ধকার দিকটাও দেখতে হবে। বাস্তবিক অর্থে আমাদের উন্নতিটা কি শুধুমাত্র আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল, যদি তাই হয় তাহলে সেটি তো বাড়ছেই। কিন্তু আমাদের উন্নত মন মানসিকতা কিংবা ইতিবাচক চিন্তা-চেতনার প্রসার কি ঘটছে? যদি ঘটতোই তাহলে শশুরবাড়ির ইফতারির মতো প্রথাগুলো আরো অনেক আগেই সীমিত হতো।
কিন্তু বর্তমানে এই প্রথাগুলোর চর্চা বাড়ছে ছাড়া কমছে না। অসুস্থ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ থেকেই সামাজিক অনাচারের জন্ম হয়। ভ্রান্ত চিন্তাধারায় আবদ্ধ থেকে যখন আমরা ভালোমন্দ বিচার না করেই জন্মপরিচয়হীন একটি অস্বাভাবিক প্রথাকে নিজেদের মধ্যে ধরে রাখি, তখন আমাদের মূল্যবোধের বিকাশ স্বপ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
পবিত্র কুর’আনে উল্লেখ আছে সহজাত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগকারীরাই প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। আসুন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) ঘোষিত সৌভাগ্যের বার্তাবাহী নারী জাতিকে অন্ধকার যুগের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে আমরা সবাই এগিয়ে আসি। সময় এসেছে নতুন করে ভাবার, সময় এসেছে অপসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে সঠিক সংস্কৃতি চর্চায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার। কেননা অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসার মুখ্য পথ হচ্ছে সঠিক সংস্কৃতি চর্চা এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে তার সঠিক প্রয়োগ, যা জাতিকে আলোর পথ দেখাবে। আসুন নিজের প্রয়োজনে, দশের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে নতুন করে চিন্তা করি।
লেখক : এফ এইচ ফারহান, কলামিস্ট