অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) সম্প্রতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে। এই সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং মোট রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ইপিবির তথ্যমতে, এই পোশাক রপ্তানির মধ্যে ১৯.২০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যা মোট রপ্তানির ৪৯.৭৮ শতাংশ । ৬.৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১৮.০১ শতাংশ। কানাডার শেয়ার ছিল ৩.১৯ শতাংশ এবং মোট ১.২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক কানাডায় রপ্তানি হয়েছে এবং ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে, যার শেয়ার ছিল ১৮.১৬ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ের মধ্যে ইইউতে রপ্তানি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউ অঞ্চলের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫.৫৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ফ্রান্স ও স্পেনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ২.৪০ বিলিয়ন ডলার ও ২.৯৫ বিলিযন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিলো যথাক্রমে ২২.২১ শতাংশ এবং ১৬.৬৯ শতাংশ। ইতালিতেও ৪২.৪০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা ছিল এবং ১.৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি বছরওয়ারিভাবে যথাক্রমে ৪৬.৪৩ শতাংশ এবং ১৭.৫৯ শতাংশ ঋনাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ৭.১৩ শতাংশ ঋনাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অধিকন্তু যুক্তরাজ্য এবং কানাডা উভয় বাজারে রপ্তানিতে যথাক্রমে ১০.৮৮ শতাংশ এবং ১৬.০৯ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে, অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩০.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো প্রধান বাজারগুলোতে আমাদের রপ্তানি ছিলো যথাক্রমে ১.৩২ বিলিয়ন, ৯৬১.৩০ মিলিয়ন, ৮৮৯.০৬ মিলিয়ন এবং ৪৭৭.৮১ মিলিয়ন ডলার।