নিজস্ব প্রতিবেদক : নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ২৬ ঘণ্টা পার হলেও কিছু কিছু জায়গায় এখনও থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে মূল আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বঙ্গবাজারের এনেক্সকো টাওয়ারসহ বেশ কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এনেক্সকো টাওয়ারের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলার একাংশে পানি ছিটাচ্ছেন। এছাড়া বঙ্গবাজার মার্কেটের অংশেও ডাম্পিং ডাউনের কাজ করছেন। দৃশ্যমান কোনো আগুন না থাকলেও, ধ্বংসস্তূপ ও এনেক্সকো টাওয়ার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
এনেক্সকো টাওয়ারের এক কর্মচারী বলেন, এনেক্সকো টাওয়ারে কাপড়ের দোকান ও গোডাউন থাকায় এখনও অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছে। দোকান মালিকরা মালামাল বের করার চেষ্টা করছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপপরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, খোলা জায়গায় আগুন না থাকলেও এনেক্সকো টাওয়ারের ৫ থেকে ৭ তলায় কিছুটা আগুন থাকতে পারে। আমরা সেটি নির্বাপন করছি।
ভয়াবহ আগুনের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির বাকি চার সদস্য হলেন- ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা, সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম, ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর অধীর চন্দ্র ও কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা জোন-১ এর উপসহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। বঙ্গবাজার থেকে আশপাশের আরও চারটি মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও ওয়াসাসহ অনেক বাহিনী ও সংস্থার চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে সাধারণ মানুষ হতাহত না হলেও ফায়ার সার্ভিসের আটজন আহত হয়েছেন। আগুনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দোকান পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
বঙ্গবাজার মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, ১০ বার নোটিশ দিয়েছিলাম : ফায়ার ডিজি