কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মনিটরিং করছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে সবশেষ খবর পাওয়া বঙ্গবাজার ও এর আশপাশের মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এদিকে বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরইমধ্যে বঙ্গবাজার অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। এ ঘটনায় বঙ্গবাজার ও এর আশপাশের মার্কেটগুলোর হাজারের বেশি দোকান পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আগুন নেভাতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ফেলা হচ্ছে। সকাল ৯টার পর থেকে বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে পানি নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
র্যাবের ঢাকার সব ব্যাটালিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৮টি টহল দল ও সাদা পোশাকে ছয়টি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেছে।
এর আগে, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আর ৬টা ১২ মিনিটে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতোমধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে তিনজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজারে মার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্স মার্কেটসহ অন্তত ৪টি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ছাড়া হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, বঙ্গবাজার মার্কেটের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে এতো বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড তাদের পথে নামিয়ে দিয়েছে।