ক্যামেলিয়া নিশান : রায়হান রাফির দিন শেষ দিঘীর বাংলাদেশ। এখন এমনই এক্টা অবস্থা। রাফি সাহেব ভাবতে পারেনি তিনি সাপের লেজে পা দিয়েছেন। সাপ যে ছোবল দিবে এখন তার সর্বাঙ্গে। তিনি নিজেকে কি ভেবেছেন ঠিক মাথায় আসছেনা। তিনি আসলে চাইছিলেন দিঘীকে নিয়ে কিছু বললে, তিনি আলোচনায় থাকবেন। ভাইরাল হবেন। তিনি তো কয়েক দিন আগেও ভাইরাল হলেন যখন, পরিমনি তাকে দালাল নামে আখ্যায়িত করলো। পরীমনির সংসারে আগুন ঢেলে দিয়ে তুমুল সমালোচিত হলেন। কিশোরগঞ্জের অখ্যাত একটা পরিবারের ছেলে। মাদ্রাসায় পড়ুয়া হাফেজ আলেম থেকে একলাফে সিনেমার পরিচালক। ভালোই তো পারেন আপনি। দিঘী একজন জাত অভিনেত্রী। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী।
তাছাড়া দিঘীর মা বাবাকে চেনেনা এদেশে এমন মানুষ কম আছে। দিঘী কে? দিঘীর কি যোগ্যতা তা আমি দিঘীর খালা হিসেবে কিছুই বলবো না। আপনি যা বলেছেন, তার উত্তর আপনার দেয়া ইন্টারভিউর কমেন্ট বক্সে গেলেই বুঝতে পারবেন। ভাইরাল হতে এসেছিলেন এবার ভাইরাস হয়ে আবার না ভ্যানিস হয়ে হারিয়ে যান। পৃথিবীতে অনেক ওভার সাইজ নায়িকা আছে যারা নাম্বার ওয়ান পজিশনে ছিলেন।
আপনি স্লিম ফিট নায়িকা নিবেন ভালো কথা, তাহলে বিজ্ঞাপন দিতেন। সেটা না করে ওভার সাইজ মেয়েদের আপনার সিনেমার গল্প কেনো শোনাতেন? দুইদিন দিঘীর মুল্যবান সময় নষ্ট করলেন কেনো? মানে আপনি বুঝতে পেরেছেন এখানে বদমাইশি চলবে না, তাইনা? (অনেকের সাথে যা করে আসছেন) আসলে আপনি তো নির্বাচন করে রেখেছেন আপনার লিভিং রিলেশন পার্টনার ডিভোর্সি বান্ধবীকে কাস্ট করবেন। মাঝখানে যদি একটু মেয়েদের গল্প শুনিয়ে ফ্লার্ট করা যায়। সেটা না পারায় দিঘীকে অযোগ্য মনে হয়েছে? দীঘির নায়িকা হওয়ার দক্ষতা নেই বলে পাগল ছাগলের মত প্রলাপ বকলেন। আপনার মত অশিক্ষিত মুর্খ পরিচালক যুগযুগ ধরে গড়ে ওঠা আমাদের ঐতিহ্যবাহী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি হতে এক নিমিষেই ঝরে যাবেন সেটা দেখার অপেক্ষায় সারা দেশবাসী।
কান খুলে শুনে রাখেন আপনার চেয়ে অনেক নামী দামি পরিচালকের কাজ দিঘী সেই বাচ্চা কাল থেকে করে আসছে। আপনি কি কাজী হায়াত এর চেয়ে বড় পরিচালক হয়ে গেছেন? মেরিল প্রথম আলোসহ অসংখ্য মূল্যবান পুরস্কার আর তিন তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র কোন লিজেন্ড রা পায় জানেন? হোক সেটা শিশু শিল্পী। আপনি একবার পেয়ে দেখান। বরগুনার মিন্নী নয়ন বন্ডের ঘটনার সেই ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে একটা সিনেমা বানিয়ে নিজেকে কি হনুরে ভেবেছেন। ওখানে সবাই রাজের অভিনয় দেখতে গিয়েছে, আপনার খোমা নয়। আপনি কি আপনার নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন? আয়নায় নিজের চেহারা দেখেছেন? তারপর অন্য কে বডি শেপিং নিয়ে কথা বলবেন।
দিঘী তার যোগ্যতা “শেষ চিঠি “ওয়েব ফিল্ম এ দেখিয়ে দিয়েছে। আপনি তো, আপনার ডিভোর্সী বান্ধবীতে বিভোর। পারলে শেষ চিঠি দেখে নেবেন। কোন মেয়ে সম্পর্কে কথা বলার আগে দশবার চিন্তা করে বলবেন। (আর দীঘির মত মেয়ে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করার কোনো যোগ্যতাই আপনার নেই)। আপনার পরিবার হয়তো মেয়েদের সন্মান করতে শিক্ষা দেয়নি। দয়া করে শিখে নিবেন। পরী মনি হয়তো ছেড়ে দিয়েছে, দিঘীর পরিবার আপনাকে কোনক্রমে ছাড় দিবেনা। বাংলাদেশের জনগনও ছাড় দিবেনা। কারণ এদেশের প্রতিটি দর্শক দীঘিকে ভালোবাসে দীঘির অভিনয়কে ভালোবাসে।
সুপার স্টার শাবনূরের প্রথম ছবি সুপার ফ্লপ ছিলো। তারপর কি শাবনুরকে নিয়ে কেউ রিস্ক নেয়নি? না হলে আজকের শাবনূর কি তৈরি হোতো? দিঘীর মা নায়িকা দোয়েল বাংলাদেশের লিজেন্ডারি খ্যাতিমান পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম ভাইয়ার মুভিতে অভিনয় করেছেন। দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত বাংলাদেশের সকল খ্যাতিমান পরিচালকদের সিনেমায় দীর্ঘ দিন যাবত অভিনয় করে আসছেন। আপনি নিজেকে বড় কিছু ভাববেন না, আপনাকে কেউ চেনেনা। দিঘীকে ১৫ বছর যাবত বাংলাদেশের মানুষ সারা দেশে যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সবাই চেনে। দীঘির মত একজন সুঅভিনেত্রীকে এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমান করা ও তাঁর অভিনয় দক্ষতা নেই এমন আজগুবী কথা বলার জন্য প্রয়োজনবোধে আমরা আপনার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। আপনি যদি আপনার কথা উইথড্রো না করেন তাহলে অচিরেই আপনার কপালে যে শনি আছে তা দেখতে পাবেন।
এদেশের বিচক্ষন দর্শকরা আপনার মত কুরুচিপূর্ণ মানসিক প্রতিবন্ধী অশিক্ষিত মুর্খ পরিচালকের সিনেমা বয়কট করে আপনার বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেবে সেই খবর শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।