সারা দেশে সরকারি উদ্যোগে উদযাপিত হচ্ছে “স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন” করার আনন্দ উৎসব।
এর আগে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতের রায়ে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পাবার বিষয়টি উদযাপন করেছিল সরকার।
একইভাবে ২০১২ সালে, মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) করা মামলায় বাংলাদেশ জেতার পরেও একই রকমভাবে উদযাপন করা হয়েছিল।
কিন্তু ব্যাপ্তি এবং ব্যাপকতার দিক থেকে এবারের উদযাপনটি অনেক বড়। কারণ সরকার মনে করছে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবজনক অর্জন।
বাস্তবতা হলো, “স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন” করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে এখনই কেন এই উদযাপন করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ মহল?
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার সবগুলো শর্ত হলো, মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক। এই তিন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হয় এবং প্রথমবারের মত বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উল্লেখিত তিনটি সুচকে বিশ্বের কোন দেশই একসঙ্গে অগ্রগতি করতে পারেনি। বাংলাদেশ পেরেছে। এজন্য সরকার অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, ২০২১ সালে জাতিসংঘ বিষয়টির উপর একটি পর্যালোচনা করবে। এরপর ২০২৪ সালে আরেকটি মূল্যায়ন হবে বাংলাদেশের। সব কিছু ঠিক থাকলে ঐ বছরই আসবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি।
আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ। এর জন্য সরকার কৃতিত্ব প্রাপ্য। কিন্তু সাধারণের প্রশ্ন, যেখানে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, সেখানে এখনই কেন এই ব্যয়বহুল উদযাপন?