October 7, 2024 - 4:51 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশআলোকিত সোলার ল্যাম্প স্থাপনে কমলগঞ্জ-সমসেরনগর সড়ক

আলোকিত সোলার ল্যাম্প স্থাপনে কমলগঞ্জ-সমসেরনগর সড়ক

spot_img

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের গ্রামীণ হাটবাজার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই এমন এলাকাগুলো আলোকিত করতে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনের কার্যক্রম চলছে গত ১ বছর ধরে। বিগত ১ বছরে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় তিনশত টি সোলার ল্যাম্প স্থাপন করে উপজেলা পরিষদ। চলতি ২০২৩ অর্থবছরে কমলগঞ্জ-সমসেরনগরের প্রধান সড়কটির ৫ কি:মি: এলাকায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একশত টি সোলার স্ট্রিস্ট লাইন স্থাপনে পাল্টে গেছে সড়কের চিত্র। আলোয় আলোকিত পুরো সড়ক জুড়ে। ফলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন সহ উপকৃত হচ্ছেন এলাকাবাসী।

কমলগঞ্জ-সমসেরনগর সড়কের পৌরসভার শেষ সীমানা হতে শমসেরনগর বাজার প্রবেশমুখ পর্যন্ত সড়ক সন্ধ্যার পর থেকে সোলারের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। দিন শেষে অন্ধকার আসায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠে এবং বন্ধ হয় এসব ল্যাম্প। গত বুধবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযুদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান সোলার লাইট স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস সূত্রের বরাতে জানা যায়, প্রধান প্রধান সড়ক আলোকিত করার লক্ষে জাইকার অর্থায়নে ও উপজেলা পরিষদের বাস্তবায়নে কমলগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কে সোলার ট্রিস্ট লাইট স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। চলতি অর্থবছরে আলীনগর ইউপিরতে ৮০টি, মাধবপুর ইউপিতে ৪৫টি, পতনউষারে ৬০টি সহ ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় তিনশত টি সোলার স্ট্রিট লাইট ল্যাম্প স্থাপিত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দরপত্র আহবান করলে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাউর্দান গ্রুপ কাজটি পায়। ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর এক সঙ্গে ৫ কি:মি: অংশ জুড়ে একশটি সোলার বাতি স্থাপন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। কাজ সমাপ্তের পরই সন্ধ্যা হলেই ৫ কিলোমিটার অংশে আলোকিত হয়ে পড়ে। বছরের পর বছর অন্ধকারে থাকা সড়কটি এখন আলোয় আলোকিত। পাল্টে গেছে দৃশ্যপট বদলে গেছে চিত্র। সড়কটি ব্যবহারকারী সকল যানবাহনসহ যাত্রী ও এলাকাবাসী ভিশন খুশি।

শমসেরনগর স্ট্যান্ডে অটোরিক্সা সিএনজি চালক শাহেদ আলী, উপজেলা চৌমুহনীর লাইটেস চালক জসিম উদ্দীন সহ একাধিক চালক বলেন, আগে অন্ধকারের মধ্যে যাতায়াত করতে হতো। সন্ধ্যার পর রাস্তায় নেমে আসত অন্ধকারের ঘনঘটা। রাস্তার বাঁকগুলোতে প্রায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটত। এখন সড়কের পাশে সোলার ল্যাম্প স্থাপন করার পর আলোকিত হয়েছে। সড়কের অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। আমরা খুশি।

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ছিল শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া। বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের আওতায় গ্রিন হাউজ গ্যাস নিরসন কমানোর লক্ষে সরকার সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জাইকার অর্থায়নের উপজেলাতে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। প্রধান সড়ক ছাড়াও গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার লক্ষে নবায়নযোগ্য সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রতি জোর দিয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নাই এমন এলাকাগুলোতে সোলার সিস্টেম স্থাপন করে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে করে আলোকিত হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা। পাহাড় বন কোথাও এখন আর অন্ধকারের ছায়া থাকবে না। আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে এলাকা জুড়ে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ