নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) ৬১তম বার্ষিক সাধারণ সভা সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) মাল্টিপারপাস হল, ডিএসই টাওয়ার নিকুজ্ঞ, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএসই’র মহাব্যস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস-এর সঞ্চালনায় বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান৷ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সভার শুরুতেই ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান ও পরিচালক হাবিবুল্লাহ বাহারসহ ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির প্রতিনিধি, কোম্পানির চেয়ারম্যান, সাবেক পরিচালক এবং শেয়ারহোল্ডার/ট্রেকহোল্ডার প্রতিনিধিবৃন্দের আপনজন যাঁরা ইন্তেকাল করেছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ডিএসই’র ৬১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ডিএসই’র চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন৷ স্বাগত বক্তব্যে তিনি বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আর্থ-সামাজিক বিরূপ অবস্থার মধ্যে সকলের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা কামনা করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন৷ একই সাথে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাত্রিতে পাষাণ ঘাতকের গুলিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রাণ হারানো সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন৷ তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে শহীদ চার জাতীয় নেতাকে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ত্রিশ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রম হারানো অসংখ্য মা-বোনদের প্রতি যাদের আত্মদানের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
তিনি আরও স্মরন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সাবেক প্রেসিডেন্ট/চেয়ারম্যান ও পরিচালকবৃন্দকে যাদের অবদানে ডিএসই আজ এই পর্যায়ে এসেছে। তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সম্মানিত পরিচালক মরহুম মোঃ রকিবুর রহমানকে, পুজিবাজার উন্নয়নে যার অবদান অনস্বীকার্য। স্মরন করেন মরহুম হাবিবুল্লাহ বাহারকে, যিনি পুজিবাজার উন্নয়নে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সাথে কাজ করেছেন। এছাড়াও স্মরন করেন শেয়ারহোল্ডার প্রতিনিধি, ডিএসই’র সাবেক কাউন্সিলরসহ শেয়ারহোল্ডারদের আপনজন যারা মৃত্যুবরণ করেন এবং তাদের বিদেহি আত্বার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বাজারে গতিশীল অবস্থা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে করোনার মহামারিতে বিধ্বস্ত বিশ্ব যখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার প্রত্যাশা করছিল তখনি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সেই গতি মন্থর করে দেয়৷ ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত শুরুর পর থেকেই অস্থিরতা দেখা দেয় বিশ্বের পুঁজিবাজারে৷ দেশের পুঁজিবাজারও এ অবস্থা থেকে বাদ পড়েনি৷ বিভিন্ন কারণে বাজার চিত্র পাল্টে যেতে থাকে৷ লেনদেন ও সূচক কমতে থাকে৷ টানা দরপতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে৷ বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ হতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷ পুঁজিবাজারের চলমান দরপতনের সাথে যুক্ত হয় বিশ্ব অর্থনীতির নানামূখী সংকটের প্রভাব৷ বিশ্বজুড়ে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে বিপাকে পড়ে ছোট অর্থনীতির দেশগুলো৷ অর্থনীতিতে দেখা দেয় অস্থিরতা৷ করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের মধ্যে হঠাত চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের শেষভাগ থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়তে থাকে৷ বিশেষ করে জ্বালানি তেল, গ্যাস, গম, ভুট্টা, ভোজ্যতেল ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ চেইন ও রফতানি বাধাগ্রস্থ হয়৷ এর প্রভাবে প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস লক্ষণীয় হয়ে ওঠে৷ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মূল্যস্ফীতি বিগত আট-নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়৷ মূল্যস্ফীতির কারণে উন্নয়নশীল দেশের অনেকেই নিজ দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে৷ রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপের মিত্রদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে শুধু রাশিয়া নয় বিশ্বের প্রায় সব দেশই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ বৈশ্বিক অর্থনীতির বৈরী পরিস্থিতির প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন আর্থিক সূচকেও নেতিবাচক ধারা পরিলক্ষিত হয়৷ এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও অনেকটা চাপের মুখে পড়ে৷ তবে সরকারের দূরদর্শিতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিধারা তুলনামূলকভাবে অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে৷ এরফলে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই বিএসইসি এবং ডিএসই’র বহুমূখী কর্মতত্পরতায় দেশের পুঁজিবাজারও অনেকটা গতিশীল হয়ে উঠে৷
ডিএসইর অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান পরিচালনা পরিষদ দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকেই ত্রুটিবিহীন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম প্রদানের মাধ্যমে ডিএসই’র ভাবমূর্তি বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য মডেল এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রেক্ষাপট ও গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। পুঁজিবাজারের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটালাইজেশনের ওপর ব্যাপক কার্যক্রম গৃহিত হয়েছে। এছাড়াও বাজারের গতিকে ধরে রাখতে ডিএসই বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, টেক স্টার্টআপ এবং গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিকে বাজারে আনার মাধ্যমে পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়নেও কাজ করছে। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারে প্রথমবারের মতো ইসলামী সুকুক বন্ড তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ৩,১৬,৮০৮ কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে ডিএসই’র ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে বহুল প্রতিক্ষিত সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনের শুরু হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ৬টি কোম্পানি নিয়ে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মের লেনদেনের শুভসূচনা করে। খুব শীঘ্রই পুঁজিবাজারে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড-এ (এটিবি) লেনদেন শুরু হবে। তাছাড়া, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালুর কার্যক্রমও চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
২ টি ট্রেকহোল্ডার কোম্পানী এপিআই কানেক্টিভিটি স্থাপন করে তাদের নিজস্ব ওএমএস এর মাধ্যমে লেনদেন শুরু করছে। এছাড়াও ডিএসই থেকে ১১টি ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে এপিআই ইউএটি সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আশা করা যায় যে, অচিরেই এসকল কোম্পানি নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) এর মাধ্যমে সরাসরি লেনদেন করতে পারবে। ডিএসই’র বর্তমান বোর্ডের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল এক্সচেঞ্জের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আধুনিক ডেটা সেন্টার তৈরি করা। এই উদ্দেশ্যে ট্রেকহোল্ডারদের ট্রেডিং এর সুবিধার্থে ম্যাচিং ইঞ্জিন ও অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) হোস্ট করার জন্য ডিএসই টাওয়ার নিকুঞ্জে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১০৬টি রেকের সুবিধা সম্বলিত একটি টায়ার-৩ ডেটা সেন্টারের কাজ চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ডেটা সেন্টারের হার্ডওয়ার স্থাপনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে প্রয়োজনীয় সফট্ওয়্যার সংযোজনের পর শীঘ্রই ডাটা সেন্টার চালু করা সম্ভব হবে।
জাতীয় অর্থনীতির নিরবিচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিএসই’র সেবা ও কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় এর প্রযুক্তিগত ঝুঁকিও অনেক বেশি। কোন দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশের পুঁজিবাজারের কার্যক্রমকে অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। সম্ভাব্য ঝুঁকি ও বিপর্যয় রোধের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল রাখতে মোনায়েম বিজনেস ডিসট্রিক্ট এ ২৪ রেকের একটি ডিজাস্টার রিকভারি (ডিআর) সাইট স্থাপনের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডেটা সেন্টার এবং ডিআর প্রবর্তনের মাধ্যমে ডিএসই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রবেশ করবে এবং ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
জাতীয় অর্থনীতির নিরবিচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ডিএসই’র সেবা ও কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় এর প্রযুক্তিগত ঝুঁকিও অনেক বেশি৷ ফলে কোন দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশের পুঁজিবাজারের কার্যক্রমকে অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে৷ সম্ভাব্য ঝুঁকি ও বিপর্যয় রোধের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল রাখতে একটি ডিজাস্টার রিকভারি (ডিআর) সাইট স্থাপনের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷ ডেটা সেন্টার এবং ডিআর প্রবর্তনের মাধ্যমে ডিএসই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রবেশ করবে এবং ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে৷
নিকুঞ্চ ডিএসই টাওয়ার প্রসংগে ইউনুসুর রহমান বলেন, আপনাদের বহুদিনের প্রতীক্ষিত ডিএসই টাওয়ারকে বাংলাদেশের ফাইন্যান্সিয়াল হাবে পরিণত করার জন্য পুঁজিবাজারের প্রধান স্টেকহোল্ডারগণ এই টাওয়ারে অফিস স্থাপন করেছেন৷ অনেকের অফিস স্থাপন প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে৷ এছাড়াও পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) ডিএসই টাওয়ারে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে৷ ইতোমধ্যে ৭টি ব্যাংক ব্রাঞ্চ অফিস স্থাপন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে৷
পরিশেষে, তিনি পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি সবসময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ তথা পুঁজিবাজার উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন৷ একই সাথে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মোস্তফা কামাল-এর প্রতি৷ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাজারবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগের উত্তম মাধ্যম হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে৷ এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্রিয় সমর্থনকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন৷ সকলের সহযোগিতায় আজ যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত৷ স্টক এক্সচেঞ্জের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে নীতি সমর্থন, দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান৷ আরো ধন্যবাদ জানান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ, বোর্ড কমিটি, কৌশলগত বিনিয়োগকারী, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) সহ ট্রেকহোল্ডার প্রতিনিধিবৃন্দকে৷
তিনি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই সব ব্যক্তিদের প্রতি, যাদের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল৷ যাদের হাত ধরে ডিএসই আজ এ পর্যায়ে এসেছে, ডিএসই’র স্বপ্নদ্রষ্টা সেইসব সদস্য বা বর্তমান ট্রেকহোল্ডারগণের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন৷ তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ঐ সকল মহান ব্যক্তিদের যাদের কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও ত্যাগের বিনিময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আজ এ অবস্থানে এসেছে৷
পরে শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২২ সালের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানির পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী গ্রহণ, বিবেচিত ও অনুমোদিত হয়। এছাড়াও ৩০ জুন ২০২২ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছর পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশকৃত ৬ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয় এবং পরবর্তী অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাঁদের পারিতোষিক নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়াও ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ডিএস্ই’র পরিচালনা পর্ষদের ২টি শূণ্য পদে নির্বাচনে মোহাম্মদ শাহজাহান ও মোঃ শাকিল রিজভীকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ এ হাফিজ এবং ৬১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তারা পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভূক্ত হন।
সভায় বক্তব্য প্রধান করেন প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুদ্দীন, সিএফএ, আলি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এম আকবর আলী, গ্রীনল্যান্ড ইক্যুইটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাজিব আহসান, শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাজেদুল ইসলাম, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী, গ্লোবাল সিকিউরিটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও, পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিঃ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাউছার আল মামুন এবং এ্যাংকর সিকিউরিটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ জেড এম নাজিম উদ্দিন।
পরে ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সা্ইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ ইক্যুইটি মার্কেটের উন্নয়ন, এসএমই মার্কেট, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি), ইটিএফ বাস্তবায়ন, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন-সরকারি সিকিউরিটিজ মার্কেট, কর্পোরেট বন্ড মার্কেট সহ শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন৷ সবশেষে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান সমাপণী বওব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন৷