দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়ন এবং ইভিএমের প্রয়োগ জাতীয় নির্বাচনে না করার দাবি করেছিলেন। এছাড়া তিনি একটা নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার গঠনেরও দাবি জানান। সহায়ক সরকারের বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, সেটা করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। কিন্তু সেনা মোতায়েন ও ইভিএমের বিষয়টা ইসির এখতিয়ারভুক্ত। সোমবার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে বলেছেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টা ইসির সক্রিয় বিবেচনায় আছে, তবে তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে কিনা তা নির্ভর করছে তখনকার পরিস্থিতির ওপর। আর নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করার কোন চিন্তা ভাবনা নেই।
নতুন ইসি গঠনের প্রথম পর্যায়ে বিএনপি কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, ইসি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবারের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির না আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ সেটা করলে তাদের বড় ধরনের আর একটা রাজনৈতিক ভুল হবে। পাশাপাশি বিগত জাতীয় নির্বাচনের মত আর একটা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করার মত অবস্থায় ক্ষমতাসীন দলও নেই। সুতরাং প্রধান দুই দল কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও এবার নির্বাচন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশে আর কোন প্রশ্নবিদ্ধা নির্বাচন হবে না। সুতরাং অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রতিদ্বতাপূর্ণ হবে। জাতিও চায় সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। প্রধান দুই দল এবং ইসিকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করতে হবে।