কর্পোরেট ডেস্ক: অভিনব সব বিজনেস ও সম্ভাবনাময় সব উদ্যোক্তাদের নিয়ে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে শুরু হয়েছে বিনিয়োগ পাওয়ার সবচেয়ে বড় মঞ্চ ‘শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ’। এখন অব্দি এই শোয়ের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দেশের বিভিন্ন ছোট-বড় স্টার্টআপে বিনিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে সম্প্রতি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটির তৃতীয় পর্বেই একটি বিজনেস একাই পেয়েছে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ।
‘ওস্তাদ’ নামের এই কোম্পানিটি মূলত এআই বেইজড অনলাইন লার্নিং একটা প্রতিষ্ঠান। যারা মূলত অনলাইনে নানা ধরণের আইটি বেইজড কোর্স প্রোভাইড করে থাকে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোর্স শেষ হলে নানান প্রতিষ্ঠানে দক্ষ লোকবল নিয়োগ করে থাকে৷ ইতোমধ্যে তারা প্রায় ৬০০০ মানুষকে কর্মসংস্থান প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মিটরিতে থাকাকালীন কিছু ছাত্রের মাথায় আসা একটা বিজনেস আইডিয়া ‘ওস্তাদ’ এখন পর্যন্ত বেশ লাভজনক ব্যবসা তৈরি করে ফেলেছে দেশের আইটি বিজনেসে। ২০২৩ সালে ওস্তাদ ৭.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে আর ২০২৪ সালে তাদের টার্গেট ২৫ কোটি টাকা।
এখন পর্যন্ত শার্ক ট্যাংকের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ডিল ছিলো ‘ওস্তাদ’। শার্কদের কাছে ওস্তাদ-এর উদ্যোক্তাদের প্রস্তাব ছিলো- ৮০ কোটি টাকার ভ্যালুয়েশনে ১.২৫% শেয়ারের বিনিময়ে ১ কোটি টাকা।
কিন্তু সবশেষে প্রায় ৫ থেকে ৬ বার তুমুল নেগোসিয়েশন আর কাউন্টার অফারের পর বিডিজবসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শার্ক ফাহিম মাশরুর, রবি আর ভেঞ্চারের সিইও শার্ক কাজী এম হাসান এবং স্টার্ট-আপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শার্ক সামি আহমেদ ৬% শেয়ারের বিনিময়ে ১ কোটি টাকা (টাকার বিনিময়ে ১.৭% শেয়ার + ৪.৩% অ্যাডভাইজরি শেয়ার) বিনিময়ে চুক্তি সম্পন্ন করেন।
বিশেষ এই চুক্তি নিয়ে পরবর্তীতে সামি আহমেদ আমাদের বলেন, “ওস্তাদের গল্পটা আসলেই খুব অনুপ্রেরণামূলক। কুয়েটের ছোট্ট একটা হলরুম থেকে শুরু করে এর উদ্যোক্তারা আজ বিজনেসটিকে ৮-১০ কোটির ব্যবসায় পরিণত করে ফেলেছে; এটা খুবই এপ্রিশিয়েট করার মতো একটা বিষয়। আমাদের দেশের তরুণরা কতটা এগিয়ে যাচ্ছে এই সময়ে শার্ক ট্যাঙ্ক এইটার প্রমাণ। ওস্তাদ, পার্কওয়ে ফার্নিচার, ইজিবাজার এবং ইংলিশ চ্যাম্প ; চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই রইলো শুভকামনা। আমাদের তরুণরা এগিয়ে যাক অদম্য সাহস নিয়ে নতুনের পথে।”
‘ওস্তাদ’ ছাড়াও এই পর্বে আরও দুইটি বিজনেস বিনিয়োগ পেতে সক্ষম হয়-