স্পোর্টস ডেস্ক : খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসর শুরু করেছিলো ঢাকা ডমিনেটর্স। এরপর টানা ছয় ম্যাচ হারতে হয় ঢাকাকে। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসে সেই খুলনাকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল ঢাকা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের ২৪তম ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে ঢাকা ২৪ রানে হারায় খুলনাকে। ৮ ম্যাচে ২ জয় ও ৬ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠলো ঢাকা। ৬ ম্যাচে ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে থাকলো খুলনা।
প্রথমে ব্যাট করে ১০৮ রানে অলআউট হয় ঢাকা। খুলনার দুই স্পিনার নাহিদুল ইসলাম ৪টি ও নাসুম আহমেদ ৩টি উইকেট নেন। জবাবে তাসকিন-নাসির ও আল আমিনের বোলিং তোপে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। তাসকিন ৪টি, নাসির-আল আমিন ২টি করে উইকেট নেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলি।
ব্যাট হাতে নেমে খুলনার স্পিনার নাহিদুল ইসলামের ঘুর্ণিতে পড়ে ঢাকা। ৮ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে ২ উইকেট নেন নাহিদুল। ঢাকার ওপেনার মিজানুর রহমানকে ১ ও আফগানিস্তানের উসমান ঘানিকে শূন্য হাতে বিদায় করেন তিনি।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ মিথুনকে রানের খাতা খোলার আগেই আউট করেন নাহিদুল। স্পেলের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ব্লেককে ৩ রানে থামান নাহিদুল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেরা বোলিং ৪ ওভারে ৬ রানে ৪ উইকেট নেন নাহিদুল।
৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। এ অবস্থায় ঢাকাকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৩৮ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। অধিনায়ক নাসিরের সাথে পঞ্চম উইকেটে ৩৩ বলে ৪০ রান যোগ করেন সৌম্য।
নাসিরকে ৩ রানে শিকার করে জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। অধিনায়ক ফেরার পরপরই নাসুমের বলে বোল্ড হন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন সৌম্য।
দলীয় ৮৪ রানে সৌম্য ফেরার পর ১শর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে ঢাকা। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১২ ও আল আমিন হোসেনের অপরাজিত ১০ রানে তিন অংকে পা রাখে ঢাকার স্কোর। ২ বল বাকী থাকতে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। নাহিদুলের পর ১১ রানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাসুম।
১০৯ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ঢাকার দুই বোলার তাসকিন ও নাসিরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে খুলনা। ১১তম ওভারে ৫৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় খুলনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপকে ৫ ও পাকিস্তানের আজম খানকে ৪ রানে ফেরান তাসকিন। ওপেনার তামিম ইকবালকে ৩০ ও মাহমুদুল হাসান জয়কে ৪ রানে থামান নাসির।
পরবর্তীতে খুলনার উপর চাপ অব্যাহত রেখে ম্যাচ জয়ের সুযোগ তৈরি করেন ঢাকার অন্য বোলাররা। ১৫ ওভারে ৮৪ রানে অষ্টম উইকেট হারায় তারা। ১৬তম ওভারে খুলনার শেষ দুই উইকেট শিকার করে ঢাকাকে জয়ের স্বাদ দেন তাসকিন। ১৫ দশমিক ৩ ওভারে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। দলের পক্ষে তামিম সর্বোচ্চ ও অধিনায়ক ইয়াসির আলি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন। আর কোন ব্যাটারই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। ঢাকার তাসকিন ৯ রানে ৪ উইকেট নেন। ২টি করে শিকার ছিলো নাসির ও আল আমিনের।