নিজস্ব প্রতিবেদক : আর্থিক সংকটে আপাতত দুই লক্ষ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এর ফলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হচ্ছে না।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এর জন্য নতুন ইভিএম কেনার প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কারণে সরকার এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তাই ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, কমিশনের হাতে যে ইভিএম রয়েছে তা দিয়ে যত আসনে ভোটগ্রহণ করা যায় তত আসনেই ইভিএমে ভোট হবে। তবে ঠিক কত আসনে ইভিএমে ভোট করা যাবে তা জানতে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেহেতু আপাতত নতুন প্রকল্প পাশ হচ্ছে না। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
এর আগে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন না পাওয়ায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নয় কমিশন।
গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় ইসি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু করলেও কোনো সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়নি। ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেনি। নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিটি সংশোধন করে এবং ৬টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে।