আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের ধনীদের গত কয়েক বছর ধরে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছে না। বিশেষ করে যারা প্রোপার্টিখাতে ব্যবসা করেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার চায়না এভারগ্রান্ডের চেয়ারম্যান হুইকা ইয়ানের সম্পত্তি কমেছে প্রায় ৯৩ শতাংশ।
এক সময় এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হুইয়ের ২০১৭ সালে সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলারে।
এভারগ্রান্ডে হলো চীনের সবচেয়ে ঋণগ্রস্ত ডেভেলপার, যার তিনশ বিলিয়ন ডলার দায় রয়েছে। ২০২১ সাল থেকে সৃষ্ট দেশের রিয়েল এস্টেট সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কোম্পানিটি। কোম্পানির উন্নয়নে হুই ব্যক্তিগত সম্পত্তিও ব্যবহার করেন। এজন্য বিক্রি করেন বাড়ি ও ব্যক্তিগত জেট। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না।
তাছাড়া ঋণদাতা, সরবরাহকারী এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থ শোধ করার জন্য নগদ অর্থ সংগ্রহের জন্য হোঁচট খায়। পরে ডিসেম্বর ২০২১ সালে এভারগ্রান্ড তার মার্কিন ডলার বন্ডে ডিফল্ট করে। গত বছর কোম্পানিটি প্রাথমিক ঋণ পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। ফলে এর ভবিষ্যৎ নিতে উদ্বেগ আরও বাড়ে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির প্রায় দুই লাখ কর্মী রয়েছে। ২০২০ সালে তাদের ১১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি হয়। ২৮০টিরও বেশি শহরে এক হাজার তিনশ প্রোপার্টির মালিক তারা।
বিশ্লেষকরা উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, এভারগ্রান্ডের পতন চীনের প্রোপার্টি বাজারের জন্য ব্যাপক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। পাশাপাশি বাড়ির মালিক ও বৃহত্তর আর্থিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দেশটির জিডিপিতে রিয়েল এস্টেট ও সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোর ৩০ শতাংশ অবদান রয়েছে। সূত্র: সিএনএন