নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, হুটহাট করে কাউকে জামিন দেবেন না, বিচার বিবেচনা করে দেবেন। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ১৫ বছর ধরে অরাজকতা, গুম ও খুন হয়েছে। প্রতিটি হত্যার বিচার হতে হবে, এ বার্তা দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয় কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, মামলার এজাহার সুন্দর করে লেখেন, তথ্য দিন। হুটহাট করে কাউকে জামিন দেবেন না, বিচার বিবেচনা করে দেবেন।
পতিত ফ্যাসিস্টরা লাখ লাখ টাকায় দেশকে অস্থিতিশীলের চেষ্টা করছে এ কথা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৫ বছর ধরে অরাজকতা হয়েছে, গুম হয়েছে ও খুন হয়েছে। প্রতিটা হত্যার বিচার হবে এ বার্তা দিতে হবে। তা না হলে এ পদে থাকার কোনো মানে হয় না।
আইন উপদেষ্টা আরো বলেন, মবতন্ত্র ভয়াবহ। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব বিভাগ সঠিকভাবে কাজ করলে মবতন্ত্র কমে যাবে। সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
একই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে উল্লেখযোগ্য অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে, বিচার নিশ্চিত করতে হবে৷ কোনো সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদের দোসর যেন জামিন না পান, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। তারা জামিন পেয়ে যদি আবারও অপরাধে জড়ায়, সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। ডেভিল হান্ট সফল করতে হবে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনী ও বিচারবিভাগের সমন্বয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন জামিন পেয়ে আবার অপরাধে না জড়ায় তারা।
গত সরকারের সময় ভিন্নমত দমনে যেভাবে পুলিশ, আদালত ও কারাগারকে ব্যবহার করা হতো সেখান সরে আসার আহ্বান জানান বিশেষ অতিথি শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
প্রকৃত অপরাধী যাতে সাজা পান, নিরাপরাধ যেন মুক্তি পায় সেটা নিশ্চিতে সবাইকে একসাথে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশকে আরও জনবান্ধন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। বিগত দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।


