নিজস্ব প্রতিনিধি : উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এবার চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চাষ হয়েছে বিশেষ জাতের ফুলকপি। বাড়ির পাশে মাত্র ৯ শতাংশ জমিতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন (৪০) এ ব্যতিক্রম জাতের ফুলকপি চাষ করেন। প্রথমবারেই সবাইকে তাক লাগিয়ে বাজি মেরেছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজির বাজারে দামের নাজুক অবস্থা হলেও সবচেয়ে ধস নেমেছে ফুলকপির বাজারে। কিন্তু দুই কন্যা সন্তানের জনক আকরাম হোসেনের বিশেষ হালকা বেগুনি রঙের এ কপির চাষ করে দাম পাচ্ছেন ভালো। বাজারের সাধারণ ফুলকপি ৪-৫ টাকা করে বিক্রি হলেও তার বিশেষ এ কালারের প্রতি কপির মূল্য স্থানীয় জয়মন্টপ কাঁচা বাজারে ৫০ টাকার উপরে। তবে পাইকাররা তার কাছ থেকে কিনে নিয়ে অন্যত্রে ১০০ টাকার উপরে বিক্রি করছেন বলেও তিনি জানান। এ বিশেষ ধরনের কপির চাহিদা মিটাতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন চাষী আকরাম হোসেন।
তিনি আরো বলেন, মৌসুমের শুরুতে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে প্রথম বোনা বীজ নষ্ট হয়। তখন মন ভেঙে গেলেও কৃষি অফিসের অনুরোধ পুনরায় আবাদ করি। ফলন হয়েছে ভালো, বাজারে চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। সম্পূর্ণ জৈব সারে উৎপাদিত এ কপি খেতেও সুস্বাদু। আগামীতে আরো বেশি করে চাষ করবেন বলেও এ সফল চাষি জানান।
সিংগাইর উপজেলার ২০ ব্লকের জয়মন্টপ ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, জাত-৭০ পাপেল ফুলকপি কৃষক আকরাম হোসেনকে অনুরোধ করে চাষ করাতে সক্ষম হই। তিনি দাম ভালো পাচ্ছেন বলে জেনেও ভালো লাগছে । তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ উপজেলার নীলটেক এলাকায় এ জাতের কপির আবাদ হচ্ছে বলেও মাঠ পর্যায়ের এ কৃষি কর্মকর্তা জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, বাজারে এসে সবাই ব্যতিক্রম জাতের সবজি খোঁজে। এ জাতের ফুলকপি ব্যতিক্রম বিধায় এর চাহিদা বেশি। আশা করি, আগামী মৌসুমে কৃষকরা এ ধরনের ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন।