মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম-দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা কক্সবাজারসহ ২৬টি রুটে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ধর্মঘট চলছে।
কক্সবাজারে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকসহ এই রুটের যাত্রীরা। একইসাথে কক্সবাজারগামী যাত্রীরাও পড়েছেন ভোগান্তিতে।
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে সারি সারি রাখা হয়েছে বাস। অন্যদিকে কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরছে কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।
সেখানে কথা হয় নোয়াখালী থেকে ঘুরতে আসা রুমেল মুল্লাহর সাথে। তিনি বলেন, সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করে বাস টার্মিনালে এসে দেখি বাস চলাচল নাকি বন্ধ। এখন দুপুর হয়ে গেছে এখনো ঘুরছি কিন্তু কোন উপায় দেখছি না। সন্ধ্যা পর্যন্ত নাকি অপেক্ষা করতে হবে। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না এত দীর্ঘ সময়।
আরেক পর্যটক সাবরিনা সাবি পরিবারের সাথে কক্সবাজারে তিনদিন আগে ঘুরতে এসেছে ঢাকার রাজারবাগ থেকে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে এসে ভোগান্তিতেই পড়ে গেলাম। আগে থেকে জানতাম না পরিবহণ ধর্মঘটের কথা।
কক্সবাজার থেকে জরুরি কাজে চট্টগ্রামে যেতে বাস টার্মিনালে এসে বসে আছেন রাহুল দে। সে পড়ালেখা করে চট্টগ্রামে। তিনি বলেন, কোন উপায় নেই এখন। কিন্তু আমি চট্টগ্রাম যাচ্ছি বলে মাইক্রে বা ভেঙে ভেঙে যেতে পারব। যারা চট্টগ্রামের বাইরে থেকে এসেছে তারা কি করবেন?
আরকান সড়ক পরিবহন সংগঠনের সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, আমাদের এটা পূর্বঘোষিত ধর্মঘট। শান্তিপূর্ণ ধর্মঘট চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে আলোচনা সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাতো পত্রিকা ও মিডিয়ার প্রচার-প্রচারণা করেছি। সবার জানার কথা।
কক্সবাজার জেলা শ্রমিক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সেফায়েতুল আলম বাবু বলেন, আমরা সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। এটা আমাদের ডাকা ধর্মঘট নয় কেন্দ্রীয় ধর্মঘট যা আমরা পালন করছি। সন্ধ্যা ৬টার পর বাস চলবে।
বিষয়টি নিয়ে পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানাকে ফোনে কল দিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না, আপনারা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন।