কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সাবেক এই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও বিদেশে অর্থ পাচার এবং বিভিন্ন দেশে ব্যবসা ও বাড়ি কেনার অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাকারিয়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি ক্রয়ের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আজিজ ও তার স্ত্রী দেশত্যাগের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
সাবেক এই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১২ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির নেতৃত্ব দেন। তার ভাই হারিস ও জোসেফের নাম বদলে পাসপোর্ট করার বিষয়ে আজিজ আহমেদের সহযোগিতা ছিল বলেও অভিযোগ আছে।
প্রসঙ্গত, সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ ২০২১ সালের ২৩ জুন অবসরে যান। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। ২০১২-১৬ পর্যন্ত তিনি বিজিবির নেতৃত্ব দেন। অভিযোগ আছে, আজিজ তার ভাই হারিস ও জোসেফের নাম বদলে পাসপোর্ট করার বিষয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। তার কারণেই জোসেফের সাজা মওকুফ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: