সাব্বির মির্জা, (তাড়াশ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওশীন গ্রামের কৃষক পাপ্পু সরকার। বিষমুক্ত (নিরাপদ) সবজি বেগুন, কাঁচা মরিচ চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
পাপ্পু সরকারের পরিবারের সকল খরচ বহন করার একমাত্র উপায় সবজি চাষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে বেগুন, কাঁচা মরিচ চাষ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। ৩০ শতাংশ জমিতে ৬০ মন বেগুন, কাঁচা মরিচ উৎপাদনের আশা তার। তবে পাপ্পু সরকার শুধু বেগুন নয়, কাঁচা, ডাটাশাক, লালশাকসহ নানা সবজি উৎপাদন করছেন।
কৃষক পাপ্পু সরকার জানান, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ করা হয়। যেমন আলোর ফাঁদ, ডালপোতা ফাঁদ, হলুদ পেপার, সাদা পেপার ফাঁদ পাতা হয় সবজি ক্ষেতে। এছাড়া নিমপাতা, বেলপাতা ও মেগনির নির্যাস ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি চাষ করা হয়। যেখানে কোনো প্রকার রাসায়নিক কোনো কিছু ব্যবহার করা হয় না।
কৃষক পাপ্পু সরকার আরও বলেন, ‘মানুষকে সুস্থ রাখতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছি। তবে লাভ কম হলেও তাতেই খুশি। এভাবেই যদি নিরাপদ সবজি চাষ করে তাহলে বিষমুক্ত সবজি খেয়ে মানুষ সুস্থ জীবনযাপন করবে এমনটাই প্রত্যাশা এই সফল চাষির।’
২০২২ সালে শাওমি কোম্পানি থেকে চাকরি ছেড়ে বাড়ির পাশে পতিত জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি এবার ৩০ শতাংশ জমিতে শুরু করেছেন বেগুন,কাঁচা মরিচ চাষ। স্বল্প সময়ে এই বেগুন, কাঁচা মরিচ চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। দুইদিন পরপর এক মন করে বেগুন, কাঁচা মরিচ তোলা হয় ক্ষেত থেকে। নিরাপদ সবজি বেগুন কাঁচা মরিচ চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। কোন প্রকার কীটনাশক ছাড়া বেগুন কাঁচা মরিচ চাষে খরচ বেশি হলেও বিষমুক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক পাপ্পু সরকার। চলতি মৌসুমে জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে দুই প্রথম মাসে ৩০ হাজার টাকার বেগুন ও কাঁচা মরিচ করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেগুন কাঁচা মরিচ চাষে অবদান রেখেছে চাষি পাপ্পু সরকার । তবে সরাসরি বাজার করতে পারলে ন্যায্যমূল্যের পাশাপাশি আরও চাষিরা আগ্রহী হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।