সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: দুই বার সময় বাড়িয়েও শেষ হয়নি যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সিংড়াবাড়ী পাটাগ্রাম ও ঝাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ। ঠিকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে ধীরগতি অনিয়মের অভিযোগ ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সময় মতো কাজ না হওয়ায় খরস্রতা যমুনায় বার বার বাঁধ ধসের মতো ঘটনা ঘটেছে।
জিওব্যাগ ভর্তির জন্য জেলা প্রশাসন অনুমোদিত বালু মহাল থেকে বালু না নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের সম্মুখ চর হতে বালু উত্তোলন করে নৌকায় নিয়ে এসে ব্যাগ ভর্তি করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যেখানে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। কাজের সময়কাল দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও দাফায় দফায় মেয়াদ বর্ধিত করেও শেষ করতে পারেনি প্রকল্পটি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কাজটি পেয়েছেন মেসার্স খন্দকার শাহীন আহমেদ। ২০২১ সালের ৪ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন কাজের সময়সীমা ধরা হলেও দুই দফা সময় বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। বর্ধিত সময়েও কাজটি শেষ করতে না পারায় বার মেয়াদ বাড়নো আবেদন করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। কাজ হয়েছে মাত্র ৬৩ শতাংশ। এখনোও কাজ বাকি রয়েছে ৩৭ শতাংশ।
কাজিপুর উপজেলাধীন সমস্ত প্রকল্পের বিআরই কিঃ মিঃ ১৪২,৩০০ হতে বিআরই কিঃ মিঃ ১৪৪,৩০০ এর মধ্যবর্তী ৬৭০ মিঃ স্থানে বিদ্যমান প্রতিরক্ষামূলক কাজের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ পুর্নবাসন ও শক্তিশালী করন প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ২৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ১৬ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বিল উত্তোলন করেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলামের নিকট জিও ব্যাগের বালি কোথায় থেকে ধরা আছে জানতে চাইলে তিনি দায় সারা উত্তরে বলেন, ঠিকাদার কোথা থেকে বালু আনবে সেটা আমার দেখার বিষয় না আমি কাজ বুঝে পেলেই হইল। ৩০ হাজার ৮৫০ টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর বরাদ্দ রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ভরা আছে।’ প্রতিটি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কমপ্লিট সহ মূল্য ধরা হয়েছে ৫১২ টাকা।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ঠিকাদার খন্দকার শাহীন আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগে করলে তিনি জানান, কাজটি নিয়েছে তাপস সিরাজী। তিনি সব কিছু করেন। লাইসেন্সটা আমার। নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর)।
মোখলেছুর রহমান জানান, আমি নতুন এসেছি আপনারা যে কাজের বিষয়ে বললেন আমি জানলাম বিষয়টি দেখবো।’