স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলকে বিদায় জানালেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা রাফায়েল ভারানে। তবে তিনি সিরি-এ ক্লাব কোমোর সাথে খেলোয়াড় হিসেবে নয়, অন্য ভূমিকায় থাকবেন বলে জানা গেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই সেন্টার-ব্যাক মৌসুমের শুরুতে ইতালিয়ান ক্লাব কোমোতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু আগস্টে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ায় সিরি-এ ক্লাবের মূল দল থেকে ছিটকে পড়েন ৩১ বছর বয়সি এ খেলোয়াড়। এরপরপরই ভারানে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেন।
এ সম্পর্কে চারবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী ভারানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, ‘মাঠে নতুন একটি জীবন শুরু হতে যাচ্ছে। আমি কোমোর সাথে থাকবো। তবে শুধুমাত্র বুট ও শিন প্যাড পড়া হবে না। ভবিষ্যতে কি করতে যাচ্ছি তা দ্রুতই সকলের সাথে শেয়ার করবো।’
২০১১ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মাদ্রিদে যোগ দেবার আগে ফ্রেঞ্চ ক্লাব লেন্সের একাডেমীতে ছিলেন ভারানে। স্প্যানিশ রাজধানীতে যোগ দেবার প্রথম বছরেই তিনটি লা লিগার শিরোপার প্রথমটি জয়ের কৃতিত্ব দেখান। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার স্বাদ গ্রহণ করেন। তিন বছর পর লিগ ও ইউরোপীয়ান ডাবল শিরোপা জয় করেন। ২০২৪ সালে ভারানে ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে লিগ কাপ ও এফএ কাপ জয় করেন।
গত মৌসুমে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছেড়ে সেস ফ্যাব্রেগাসের সিরি-এ লিগে নতুন উন্নীত কোমোতে যোগ দেন। এই ক্লাবের হয়ে একটি মাত্র কোপা ইতালিয়া ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। এরপরপরই হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন।
ভারানে বলেন, ‘লেন্স থেকে মাদ্রিদ, এরপর ম্যানচেস্টার, একইসাথে জাতীয় দলের পক্ষে খেলা, এসবই স্বপ্ন। প্রতিটি মুহূর্ত আমি দারুনভাবে উপভোগ করেছি। নিজেকে পরিনত করার চেষ্টা করেছি।’
২০১৩ সালে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় ভারানের। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে ভারানে বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ সাফল্য লাভ করে। দুই বছর আগে ফ্রান্স ক্যারিয়ার শেষের আগে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৯৩টি ম্যাচ। এ সম্পর্কে ভারানে বলেন, ‘যা কিছু স্বপ্ন দেখেছি তার থেকে অনেক বেশী কিছু অর্জন করেছি। যদিও সম্মান ও ট্রফির তুলনায় আমি সবসময় নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী থাকার চেষ্টা করেছি। যেখানেই ভাল কছিু দেখেছি সেখানে ছুঁটে গেছি।’
ভারানের অবসরে সাবেক অনেক সতীর্থই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম ইউনাইটেডের পর্তুগীজ প্লেমেকার ব্রুনো ফার্নান্দেস। ইন্সটাগ্রামে ফার্নান্দেস লিখেছেন, ‘তার সাথে খেলাটা আমাদের সকলের জন্যই দারুন আনন্দের ছিল।’