কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : রাজধানীর বাড্ডা থানার সুমন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল আলম আসামি টিপু মুনশিকে আদালতে হাজির করে ৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি শেষে আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে গুলশান এলাকা থেকে টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বাড্ডা থানার এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে, গত ২২ আগস্ট টিপু মুনশি, তার স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি, মেয়ে তানিয়া অনন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, টিপু মুনশি রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। নবম জাতীয় সংসদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে তিনি শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ২০২৪ সালে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি তিনি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা হয়।
এসব মামলা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকেও গ্রেপ্তার করা হয়।