১. কে শুধরাবে, সমাজ না মনুষ্যত্ব?
আদিমতা শেষ হয়ে আধুনিকতা থেকে অত্যাধুনিকতার জমজমাট মেলায়ও ” মাইন্ড”‘ মরিচা পরায় ভীষণ বাড়ন্ত।
পুথি পাঠ, গল্পের মঞ্চস্হতা চলন্ত তবুও দাঁড়িয়ে থাকা লাইটপোস্টের মগজে ভাজ বাড়েনি।
ঝড় আসলেই প্রচারণা চলে ভেঙ্গে যাওয়ার,
রৌদ্রময় দিনগুলো কেটে জলের স্পন্দনে নতুন স্বাদ চাওয়র।
এরা আজও ভাঙ্গা সেতুর ইতিহাস বলে। দলে দলে নেতিবাচক আলোচনায় সৃষ্টি করে পৌরাণিক চরিত্র, উল্টো রেওয়াজ, এখানে যতই কালের হাওয়ায় উত্তাল তবুও বক্র চাহনি।
নির্যাতন, ধর্ষণ, ব্যঙ্গতার হাসি অবলীলায়।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পরিবর্তন বসনে আসনে কিন্তু নোংরা জলের শরীর বেয়ে পরিষ্কার জল ঢেউ খেলে তবুও অটল টিপ্পনী কাটা আর ছলচাতুরী।
২. মূক যুবা
শব্দ অস্পষ্ট তবুও বলে যায় সীমাহীন কষ্ট,
অসীম ভালেলাগা অসম্পূর্ণ ভাষায়
প্রকাশের প্রচেষ্টা
অন্তর আছে, আছে তৃষ্ণা আছে ক্ষিধে
আছে আবেগের ব্যকুলতা।
শব্দের অস্পষ্টতায় মরেনা যৌবন
বাড়ন্ত দেহে নিঃশব্দে বসন্ত দখল
শিরশিরিয়ে দক্ষিণা সমীরণ করে যায় ফাগুন বরন
বিমূঢ় শব্দরা ইঙ্গিতে বুঝে নেয়
ঘর বরের সঙ্গত কারণ।
লকলকে জিভ ফাঁদ পাতে সরলতায়
মিথ্যে স্বপ্ন বুনে দেয়
ছুঁয়ে নরমাংসের সুরম্য অনুভূতি,
সঞ্চালিত করে অঙ্গ অঙ্গের অঙ্গনে,
শেষে অঙ্কুরিত হয় আত্মার ভিতর আত্মা সংগোপনে!
এবার পালানোর পথ খুঁজে শিকারী
প্রতিশ্রুতি হয় আঁধারের যাত্রী নিঃশব্দ চরণ
ভীষণ নির্মমতার স্বীকার হয় মূক যুবা
বয়ে বেড়ায় জীবনের ভিতরে
বেড়ে ওঠা জীবনের স্পন্দন।
৩. নির্মম প্রাপ্তি
দিনের টানে সন্ধ্যা নামে
দীপ্ত আলোর সমাপ্তি
কারো গৃহে জ্বলে ঝারবাতি
নিগৃহ উপবাস কারো নির্মম প্রাপ্তি।
স্নিগ্ধ বদনে হেসে করে কেউ
তৃপ্ত অস্তিত্ব প্রমাণ
কেহ কষ্ট পোড়া ছাই গিলে মাতে উন্মাদনায়
গায় হারমানা ব্যর্থতার গান।
কেউ রাত জাগে জলসা ঘরে
ওষ্ঠ ডুবিয়ে প্রেমের পেয়ালায়
কারো সন্ধ্যায় নিশী রাত নামে
নির্দিষ্ট আলপিন ঠোকা তক্তায়।
কারো দীর্ঘ সনদের তলে মেধার কবর
জীবন বিকিয়ে দেয় রাস্তায় সস্তায়
কেই দুস্হের মাঝে মানবতা বিলায়
কেউ সামান্য দানে নাম ফলায় বস্তায় বস্তায়।
কারো হাত জুড়ে রয় স্বর্ন কলম
বিলাসী শব্দে লিখে জীবনের প্রবন্ধ
কেউ নষ্ট কাগজে ভাঙ্গে কাঠের পেন্সিল
আঁকে দুঃসহ যন্ত্রণা পরিত্রাণের তন্ত্র।