নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অনুমতি পাওয়া ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের আবেদন ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৫৩ তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স নির্ধারিত মূল্যে (ফিক্সড প্রাইস) পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা তুলবে। এই জন্য প্রতিটি শেয়ারের অফার মূল্য ধরা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, এফডিআর বিনিয়োগ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছে বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানির কোন প্রকার লভ্যাংশ অনুমোদন, ঘোষণা বা বিতরন করতে পারবেনা।
২০১৩ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ওই বছর থেকেই কোম্পানিটি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অনুমোদনের শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বাধ্যবাধকতা। এরই অংশ হিসেবে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে।
কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঁইয়া। নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় তার রয়েছে ৩৬ বছরের অভিজ্ঞতা। তিনি বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসাবে সরকার কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছেন।
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি দীর্ঘ ২১ বছর ধরে লাইফ বিমা খাতে কর্মরত আছেন তিনি। ট্রাস্ট ইসলামী লাইফে যোগদানের পূর্বে তিনি হোমল্যান্ড লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।