নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে ১৬টি প্রসিদ্ধ বাক্য ছড়িয়ে পড়েছে যে বাক্যগুলো কুফরী বাক্য। বাক্যগুলো বলা থেকে হেফাজত করুন।
ঈমান ধ্বংসকারী এই ১৬টি বাক্য হলো-
১। আল্লাহ সাথে হিল্লা লাগে এই কথা বলা যাবে না।
২। তোর মুখে ফুলচন্দন পড়ুক এই কথা বলা যাবে না। ফুল চন্দন হলো হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পূজার সামগ্রী।
৩। কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে এ কথা বলা যাবে না। কেষ্ট হিন্দুধর্মাবলম্বীদের দেবতার নাম।
৪। মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল বলা যাবে না। মহাভারত একটি উপন্যাস। উপন্যাস অশুদ্ধ হয়ে থাকে। একমাত্র আসমানী কিতাব নির্ভুল।
৫। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত বলা যাবে না। এতে মোল্লাদের প্রতি কটাক্ষ করা হয়। শুধু মোল্লা নয় প্রত্যেক মুসলমানের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
৬। লক্ষি ছেলে লক্ষি মেয়ে। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের দেব-দেবীর নাম লক্ষি। মুসলমান ছেলে-মেয়েদের নামের পূর্বে লক্ষি লাগানো যাবে না।
৭। ঔষুধ কে জীবন রক্ষাকারি বলা যাবে না। জীবন রক্ষাকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। তিনি অসুখ দেন তিনিই সুস্থতা দান করেন।
৮। দুনিয়াতে কাউকে শাহেনশাহ বলা যাবে না। এর অর্থ রাজাদের রাজাধীরাজ। আর রাজাদের রাজাধীরাজ একমাত্র আল্লাহ।
৯। কাউকে ধোয়া তুলসী পাতা বলা যাবে না এটা হারাম।
১০। ইয়া খাজা বাবা, ইয়া গাউস, ইয়া কুতুব বলা যাবে না। এগুলো বলা শিরক। এটা বড় ধরনের পাপ।
১১। ইয়া রাসূল (সা:)/ ইয়া আলী ইত্যাদি বলে সাহায্য প্রার্থনা করা যাবে না।
১২। বিসমিল্লায় গলদ বলা যাবে না। বলতে হবে শুরুতেই ভুল। কারণ, বিসমিল্লায় কোন ভুল নাই।
১৩। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া বলা যাবে না। মানুষ বা কোন প্রাণীর পক্ষে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া সম্ভব না।
১৪। মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলা যাবে না। সাহাবাদের শাসনের ওই সময়গুলো ছিল মুসলিমদের স্বর্ণালী সময়।
১৫। মনের পর্দা বড় পর্দা বলা যাবে না। মনের পর্দা কখনো আসল পর্দা হতে পারে না।
১৬। নামাজ পড়ি না কিন্তু ঈমান ঠিক আছে বলা যাবে না। নামাজ না পড়লে কখনো ঈমান তাজা থাকে না। ঈমান শেষ হয়ে যায়। এটা কূফরী বাক্য।