স্পোর্টস ডেস্ক : ডান-হাতি পেসার এনরিচ নর্টির রেকর্ড বোলিংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে শুভ সূচনা করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ ওভার বোলি করে মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নেন নর্টি। সোমবার ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নর্টির বোলিং তোপে ১৯ দশমিক ১ ওভারে ৭৭ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। জবাবে ২২ বল বাকী রেখে জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
নিউ ইয়র্কে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ ওভারে ১৩ রানের সূচনা পায় শ্রীলংকা। চতুর্থ ওভারে পাথুম নিশাঙ্কাকে ৩ রানে শিকার করে লংকানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওটনিল বার্টম্যান। নিশাঙ্কা ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও তিন নম্বরে নামা কামিন্দু মেন্ডিস। টেস্ট মেজাজে খেলে ২৮ বলে ১৮ রান যোগ করেন তারা। অষ্টম ওভারে কামিন্দুকে (১১) থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন নর্টি।
ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে চার নম্বরে নেমেছিলেন শ্রীলংকার অধিনায়ক হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। রানের খাতা খোলার আগেই অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসারাঙ্গাকে বিদায় দেন স্পিনার কেশব মহারাজ। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ১ বলের বেশি খেলতে দেননি মহারাজ। দশম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান নর্টি। ১টি চারে ৩০ বলে ১৯ রান করা কুশলকে শিকার করেন নর্টি। ১০ ওভার শেষে ৪০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় শ্রীলংকা। সেখান থেকে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলংকা। ৩৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯ দশমিক ১ ওভারে ৭৭ রানে অলআউট হয় লংকানরা। টি-টোয়েন্টিতে এটিই শ্রীলংকার সর্বনিম্ন রান। কুশল ও কামিন্দুর পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে শ্রীলংকার পক্ষে দুই অংকে পা রাখেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ২টি ছক্কায় ১৬ রান করেন তিনি।
শ্রীলংকা ইনিংসের শুরু ও মিডল অর্ডার মিলিয়ে ৪ ওভারে ৭ রানে ৪ উইকেট নেন নর্টি। ৩৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা বোলিং ফিগার। এ ম্যাচে নর্টির ইকোনমি রেট ১ দশমিক ৭৫। যা টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ইতিহাসে এখন সেরার কাতারে। এছাড়া মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট নেন। ৭৭ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ২৩ রানে ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স ৪ ও অধিনায়ক আইডেন মার্করাম ১২ রানে আউট হন। তৃতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করলেও শ্রীলংকার বোলারদের স্বাচ্ছেন্দ্যে খেলতে পারেননি ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবস। ৩৯ বল খেলেন তারা। ৭ রানের ব্যবধানে ডি কক ও স্টাবসকে শিকার করে শ্রীলংকাকে লড়াইয়ে ফেরার পথ দেখান স্পিনার হাসারাঙ্গা। ১টি ছক্কায় ডি কক ২৭ বলে ২০ এবং স্টাবস ২৮ বলে ১৩ রান করেন।
১৩তম ওভারে ৫৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর চিন্তার ভাজ পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। পঞ্চম উইকেটে ২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে প্রোটিয়াদের জয় নিশ্চিত করেন হেনরিচ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ক্লাসেন ১৯ ও মিলার ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলংকার হাসারাঙ্গা ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলংকা : ৭৭/১০, ১৯.১ ওভার (কুশল ১৯, ম্যাথুজ ১৬, নর্টি ৪/৭)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৮০/৪, ১৬.২ ওভার (ডি কক ২০, ক্লাসেন ১৯*, হাসারাঙ্গা ২/২২)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী।