December 23, 2024 - 10:53 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeধর্ম ও জীবনবদর যুদ্ধের ইতিহাস ও কারণ ?

বদর যুদ্ধের ইতিহাস ও কারণ ?

spot_img

অনলাইন ডেস্ক: সৌদি আরবের মদিনা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে বদর হুনাইন প্রান্তর অবস্থিত। প্রায় ১৪০০ বছর আগে এই প্রান্তরে এক যুদ্ধ হয়, যাকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম ‘ইতিহাস-নির্ণায়ক’ যুদ্ধ হিসেবে। আশ্চর্যের বিষয়, সামরিক দিক থেকে এই যুদ্ধে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম।

কিন্তু এই যুদ্ধের গুরুত্ব এত বেশি ছিল যে, মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনেও এই দিনটিকে আল-ফুরকান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মানে, সিদ্ধান্ত বা রায়ের দিন। মদিনার নবজাতক মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে এই যুদ্ধের গুরুত্ব বুঝতে হলে, আগে জানতে হবে কেন বদরের ময়দানটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর নামকরণ হয়েছিল কীভাবে?

বদরের নামকরণ: মদিনা থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে পাহাড়ে ঘেরা এক প্রান্তর। ডিম্বাকৃতির সুবিশাল সেই প্রান্তরের প্রস্থ প্রায় সাড়ে চার মাইল। আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা ছিল এর। ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বাণিজ্য পথ গেছে এই পাহাড় ঘেরা জায়গাটির ওপর দিয়েই। বণিকদের কাফেলা যাওয়ার সেই স্থানেই আবার মিলেছে মক্কা ও মদিনা থেকে আসা দুটি পথ।

এখান থেকে লোহিত সাগরও নিকটবর্তী। মোটে মাইল দশেকের দূরত্ব। স্থানটির নামকরণ ‘বদর’ করার পেছনে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণের কথা জানা যায়। তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্যটি হলো, বদর বিন ইয়াখলাদ নামে এক ব্যক্তি এখানে একটি কূয়া খনন করেছিলেন। কূয়ার পানি ছিল খুবই স্বচ্ছ। কথিত আছে, সেখানকার পানিতে চাঁদের প্রতিফলন ঘটতো। যেহেতু চাঁদকে আরবিতে বদরও বলা হয়, তাই উভয় দিকের সূত্র মিলিয়ে এই স্থানের নাম বদর রাখা হয়েছিল।

মা’আরিফ ইসলাম নামক বই থেকে জানা যায়, প্রাক-ইসলামী ‘জাহিলিয়া’ যুগে প্রতি বছর পহেলা জ্বিলকদ থেকে আটই জ্বিলকদ পর্যন্ত এই স্থানে একটি বড় উৎসব অনুষ্ঠিত হতো।

বদর যুদ্ধের কারণ: মদিনায় হিজরতের আগে মক্কার নেতৃস্থানীয়দের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল মুসলমানদের। তবে, পরবর্তীতে মক্কা ও মদিনার মধ্যে যুদ্ধের নেপথ্যে এটাই একমাত্র কারণ নয়। দ্বিতীয় হিজরি বর্ষের রজব মাসের ১১ তারিখে মক্কার একজন গোত্র প্রধান আমর বিন আল-হাদরামি দুর্ঘটনাবশত মুসলমানদের হাতে নিহত হন। ইসলামের নবী স্থানীয় ঐতিহ্য অনুসারে এই হত্যার জন্য ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করেন। কিন্তু মক্কায় কুরাইশদের প্রধানরা এই ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়।

ইবনে খালদুন লিখেছেন, আমর ইবনে আল-হাদরামির মৃত্যুতেই বদর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট সূচিত হয়। শা’বান মাসে ঘটে আরেকটি ঘটনা। কুরাইশদের সম্পদ বোঝাই একটি কাফেলা সিরিয়া থেকে মক্কায় আসছিল। তখন গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, মুসলমানরা সেই বহরকে আক্রমণ করতে চায়।আবু সুফিয়ান ছিলেন কাফেলার নেতা। তিনি সহায়তার জন্য মক্কায় দূত মারফত খবর পাঠান।

বার্তা পেয়ে মক্কা থেকে কুরাইশদের একটি দল আবু সুফিয়ানের কাফেলাকে সাহায্য করার জন্য মদিনার উদ্দেশে রওনা হয়। মা’আরিফ ইসলামির অনুসারে, সিরিয়া থেকে আগত কাফেলা মক্কায় পৌঁছে গিয়েছিল ঠিকই। অর্থাৎ, কুরাইশদের উচিত ছিল মদিনার দিকে যাওয়া কাফেলাকে ফেরত আনা। কিন্তু, আবু জাহলের পীড়াপীড়িতে তারা মদিনার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১৬ই রমজান তারা বদর নামক স্থানটিতে শিবির স্থাপন করে। বলা হয়ে থাকে, এই পক্ষে লোক সংখ্যা ছিল নয়শো থেকে এক হাজার। তারা সবাই ছিল সশস্ত্র।

সংবাদ পেয়ে ১২ই রমজান ইসলামের নবীও বদরের উদ্দেশে অগ্রসর হন। ১৭ই রমজান ৩১৩ জন সঙ্গী নিয়ে তিনি ময়দানের কাছাকাছি পৌঁছান। খ্রিস্টাব্দে নিরিখে তারিখটা ৬২৪ সালের ১৩ই মার্চ। তখন পর্যন্তও কুরাইশদের মধ্যে শান্তিপ্রিয় কিছু ব্যক্তি যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, আবু জাহেলের একগুঁয়েমির কারণে তাদের প্রচেষ্টা সফল হয়নি। ফলে, যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে।

যুদ্ধের শুরু ও শেষ: যুদ্ধকৌশল অনুযায়ী মুসলমানদের সেনাদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। জুবায়ের বিন আল-আওয়ামকে একটি দলের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়। কুদ বিন আমরকে নির্দেশ দেয়া হয় মাসরায় অবস্থান নিতে। মূল নেতৃত্বে ছিলেন নবী স্বয়ং। বাহিনীর পেছনের অংশে থাকা কমান্ড অব সাকাহ’র দায়িত্ব কায়েস ইবনে সা’সা-এর ওপর ন্যস্ত করা হয়। যোদ্ধা দলটির সবচেয়ে বড় প্রতীক নিশানটি বহন করছিলেন মুসআব বিন উমাইর। মুসলমানদের পরিচয় ছিল ‘ইয়া মনসুর উম্মাহ’।

আরব ঐতিহ্য মেনে, একক লড়াইয়ের মাধ্যমে যুদ্ধের শুরু হয়। এতে তিনজন কুরাইশ যোদ্ধা নিহত হন। তারপরে শুরু হয় মল্লযুদ্ধ।যুদ্ধে, দুই তরুণ আনসার(যোদ্ধাদের সহায়তাকারী) মু’য়াওজ এবং মু’য়াজ মক্কার আবু জাহলকেও হত্যা করে। এতে, মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধের পাল্লা ভারী হতে শুরু করে।

কুরাইশরা সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল ঠিকই, তারপরও মল্লযুদ্ধের পর নবী মোহাম্মদের নির্দেশে মুসলমান যোদ্ধারা অতর্কিত কুরাইশদের উপর আক্রমণ করে। এই অতর্কিত আক্রমণ যুদ্ধের চেহারা পাল্টে দেয়। আর কুরাইশ বাহিনী পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধে ৭০ জন গুরুত্বপূর্ণ কুরাইশ নেতা মারা পড়েন। ৭০ জনকে আটক করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, চার হাজার চারশো দিরহাম মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেয়া হবে। আর, যারা লেখাপড়া জানতেন তারা দশ জন আনসারের সন্তানকে লিখতে ও পড়তে শেখাবেন।

বদর যুদ্ধের গুরুত্ব: এই যুদ্ধ ছিল নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত সে কারণেই এটিকে বিশ্বের কয়েকটি ‘নির্ধারক যুদ্ধের’ অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়। যদিও সংখ্যাগত দিক থেকে এটি বড় কোন যুদ্ধ নয়। কেমব্রিজ হিস্ট্রি অব ইসলামের অনুসারে, এই যুদ্ধের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দুই ধরনের প্রভাবই ছিল। বইটি থেকে জানা যায়, মক্কার যেসব গুরুত্বপূর্ণ নেতা মারা যান, তাদের ছিল দৃঢ় প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক দক্ষতা।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও মক্কার যোদ্ধাদের পরাজয়ের ফলে একদিকে তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং মর্যাদাহানি হয়। অন্যদিকে, এই যুদ্ধের পরে বদরের ওই বাণিজ্য পথ ব্যবহারের ঝুঁকিও হ্রাস পায়। মক্কার অর্থনীতি এই পথে পরিচালিত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল ছিল, কেমব্রিজ’র হিস্ট্রি অব ইসলাম থেকে এমন তথ্যই মিলছে। অর্থাৎ, কুরাইশদের দিক থেকে দেখলে, সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সিরিয়ায় তাদের বাণিজ্যের পথও অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ফলে, অন্যান্য গোত্রের কাছে তাদের গুরুত্ব কমে যায়।

এই যুদ্ধে মক্কাবাসীরাই সর্বক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠিকই। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায় সম্মান ও মর্যাদাহানি। আরব অঞ্চলে কুরাইশদের মক্কার একটি বিশিষ্ট অবস্থান ছিল। একে অনেকটা আরবের রক্ষাকর্তার মতো বিবেচনা করা হতো। কিন্তু একটি ছোট দলের হাতে সেই মক্কাবাসীদের পরাজয় আরবদের একটি সম্পূর্ণ নতুন ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যায়।

হাদিস অনুসারে, সমগ্র অঞ্চলে এই পরাজয়ে কথা রটে যায়। অসম্মানের গ্লানি এড়াতে মক্কার লোকেরা কোনোরকম উচ্চবাচ্য ছাড়া নীরবে শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। বলে দেয়া হয়, কেউ যেন কোনো কবিতায়ও নিহতদের স্মরণ না করে। এই নীরব শোকের পাশাপাশি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বদরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার তাড়নাও ছিল তাদের। কেমব্রিজের তথ্যমতে, অন্যপক্ষে, বদরের যুদ্ধ মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। তাদের ধর্মবোধ প্রবল হয়। নিজেদের এবং ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারেও উপলব্ধি জাগে তাদের মনে।

এই যুদ্ধের পর মুসলিমরা ওই অঞ্চলে একক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। যা রাষ্ট্র হিসেবে মদিনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এমনকি এই বিজয় মদিনায় বসবাসকারী ইহুদিদেরও বিমোহিত করে। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বদরের যুদ্ধ। কারণ, এই প্রথমবার মুসলমানরা নবীর নেতৃত্বে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মুসলমানরা পরাজিত হলে ইসলাম অস্তিত্ব সংকটে পড়তো। এমনকি পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়াও অসম্ভব ছিল না।

তাই এ দিনটিকে কোরআনে বিচার দিবস বলা হয়েছে।

মা’আরিফ ইসলামির বিশ্লেষণ বলছে, মুসলমানরা যুদ্ধের ময়দানে প্রথমবারের মতো নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছিল, সেই দিক থেকে এটি ছিল ‘নির্ণায়ক’ যুদ্ধ। শত্রুপক্ষের প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও জনবল থাকা সত্ত্বেও বিজয় তাদের সাহস বাড়িয়ে দেয়। এর প্রভাবে উপদ্বীপের অন্যান্য গোত্রের মানুষদের মধ্যেও মুসলমানদের সামর্থের প্রতি সমীহ জাগে। তাদের আস্থা তৈরি হয় মুসলমানদের ওপর।

সূত্র- বিবিসি বাংলা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন...

নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : গণমাধ্যমের সামনে নিজের সম্পদ বিবরণী ও আয় ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। রোববার (২২...

ডিসেম্বরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২ বিলিয়ন ডলার

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধ পথে ২০০ কোটিমার্কিন (২ বিলিয়ন) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ...

এনসিসি ব্যাংকের ভুলতা উপশাখার উদ্বোধন

কর্পোরেট ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় এনসিসি ব্যাংক এর ভুলতা উপশাখা রবিবার (২২ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। এনসিসি ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান মোঃ নূরুন নেওয়াজ...

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নওয়াপাড়া শাখার উদ্বোধন

কর্পোরেট ডেস্ক: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি‘র ২০৬ তম শাখা হিসেবে নওয়াপাড়া শাখা, যশোর রবিবার (২২ ডিসেম্বর,২০২৪) উদ্বোধন করা হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল...

এআইইউবি জব ফেয়ারে আইএফআইসি ব্যাংকের অংশ গ্রহণ

কর্পোরেট ডেস্ক: শিক্ষাজীবন থেকে পেশাগত জীবনে উত্তরণের সেতুবন্ধনের যাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তরুণদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ারের সঠিক পথ নির্ধারণে সহায়তার লক্ষ্যে আইএফআইসি...

৩ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো তমিজুদ্দিন টেক্সটাইল মিলস পিএলসি, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড ও শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ...

রাইট শেয়ারের মূল্য কমালো কনফিডেন্স সিমেন্ট

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়রের ইস্যু মূল্য ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত...