আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী সালমা খাতুন (২৪) জেলে। এবার শাস্তির আওতায় আসছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ঘটনার বিবরণ দিয়ে শাস্তির অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি ) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা সালমা খাতুন (২৪) আটক হন। আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমান আদালতে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
এ ঘটনায় মূল দোষী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত পরীক্ষার্থী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় স্থানীয়রাসহ সচেতন মহলের মানুষ।
এদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিন্ধা দাস।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিন্ধা দাস বলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল ও জরিমানা করা হয়েছিলো। মূল দোষী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হয়েছে।