রফিকুল ইসলাম (রাব্বি) : দেশের প্র্র্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেডের ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানিটি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২৩-ডিসেম্বর’২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০২৩ এ ০ টাকা ১৯ পয়সা যা ২০২২ সালে ছিল ০ টাকা ১০ পয়সা, ২০২১ সালে মাইনাস ৫ টাকা ৭ পয়সা, ২০২০ সালে মাইনাস ১ টাকা ২৮ পয়সা ও ২০১৯ সালে মাইনাস ১ টাকা ২৮ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএআই) তথ্য অনুযায়ী কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২৩ সালে মাইনাস ৩ টাকা ৮১ পয়সা, ২০২২ সালে মাইনাস ৩ টাকা ৬১ পয়সা, ২০২১ সালে মাইনাস ৪ টাকা ৬ পয়সা ও ২০২০ সালে ১ টাকা ১ পয়সা ও ২০১৯ সালে ছিল ২ টাকা ২৮ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৩ সালে ০.৫০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ০.৪০ শতাংশ নগদ, ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ স্টক,২০১৫ সালে ১২ শতাংশ স্টক ও ২০১৪ সালে ১১ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটি ২০২১,২০২০,২০১৯ লভ্যাংশ দেয়নি।
পর্যবেক্ষনে দেখা যায় কোম্পানিটি ৩০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ২২.১৪ শতাংশ শেয়ার, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৫.৬৭ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ৬২.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্য।
গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ৭.১০ টাকা থেকে ১২.৫০ টাকা। গত কাল দর উঠানামা হয়েছে ৯.০০ টাকা থেকে ৯.৪০ টাকার মধ্যে। ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেড বর্তমানে বি ক্যাটাগরিতে অবস্থা করেছে।