নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেখানে অনিয়ম চোখে পড়বে, সেখানেই অ্যাকশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজসভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন চলাকালে যেকোনো অনিয়ম দেখলেই অ্যাকশনে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে ভোট বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে কি-না – এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
রাশেদা বলেন, জনগণেরও চাওয়া সেনাবাহিনী নামুক। পরিবেশ সুন্দর রাখতে সেনাবাহিনী নামিয়েছি। আমরা আশ্বস্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর এবং ভোট সুষ্ঠু হবে। কে ভোটে এল না এল সেই বিষয় নিয়ে ভাবার সময় নাই।
ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য। সে জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে, তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি, তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।’
একটি বড় দল (বিএনপি) নির্বাচনে না আসা ও তাদের ভোট প্রতিহত করার ঘোষণাকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা, কিন্তু সে জন্য তার ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনো প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো কাজ যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি, যথাযথ পদক্ষেপ নেবে, তবে সব দল নির্বাচনে আসলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো। একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই, সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নাই।’
তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৮ ডিসেম্বর। সে দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ইসি জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।