নিজস্ব প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ–২’ অভিযানের সময় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর সিংগাইর থানার অধীন শান্তিপুর (বাঘুলি) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আরবিকুল ইসলামের দিকে।
যাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনি মো. আজাহার উদ্দিন খান (৬২)। তিনি চান্দহর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘুলি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে বাঘুলি বাজারের আজাহার মার্কেটসংলগ্ন পারভীনের পিঠার দোকান থেকে এসআই আরবিকুল ইসলাম আজাহার উদ্দিনকে আটক করেন। পরে তাকে একটি গাড়িতে তুলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জামির্তা চকে দেন-দরবার শেষে তার ছেলের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা গ্রহণ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়—এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বখতিয়ার হোসেন, আহাম্মেদ খান, তৈয়বুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। তবে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় মশিউর রহমান নাহিদ, মালেক মোল্লা, ফয়েজ, বাসেত ও রবিউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এ বিষয়ে মো. আজাহার উদ্দিন খানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আরবিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা ছেড়ে দেননি।
শান্তিপুর (বাঘুলি) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সহকারী পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) ফাহিম আসজাদ জানান, “এখনো বিষয়টি অবগত নই। যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।”


