মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ দেশে সরকারি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময়ের পর চিকিৎসকরা যাতে বেসরকারিভাবে রোগী দেখতে পারেন তার জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ডা,আবদুর নুর বুলবুল আধুনিক বহির্গমন বিভাগের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন,কক্সবাজার সদর হাসপাতাল কে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ বেড়ে উন্নীত করা হবে।কারণ এখানে দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ শ” রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।এর বাইরে রোহিঙ্গা রোগীদের চাপ সব মিলিয়ে বেহাল অবস্থা। ২৫ লাখ কক্সবাজারবাসী ও ১৩ লাখ রোহিঙ্গার চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালে রোগীর সংকুলান হচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে ডায়ালাইসিস সেবাও প্রধান করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন। তারা ক্লিনিকেও কাজ করতে পারেন; সেই ব্যবস্থা বর্তমান নীতিমালায় রয়েছে। এটা কোনো অন্যায় নয়। তবে নীতিমালায় এটুকু আছে যে, স্ব স্ব কর্মরত প্রতিষ্ঠানে দুপুর ২টা পর্
নতুন নীতিমালার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাইরে চেম্বারে গিয়ে যে রোগী দেখেন, তাদের সেই ব্যবস্থা বা সুযোগটাই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে করে দিতে চাচ্ছি। যে প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করেন সেখানেই তো চেম্বার আছে। সেখানেই ডাক্তাররা প্র্যাকটিস করতে পারবেন।’
এতে চিকিৎসকরা তাদের সুবিধাটুকু পাবেন, রোগীরাও সেবা পাবেন বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি রোগী যারা আছেন তারা সবসময় সেই সেবাটা পাবেন। এটা নিয়ে আমরা খুবই সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। এটা প্রধানমন্ত্রীও অবহিত আছেন।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবন করে দিচ্ছে। এর আগে মন্ত্রী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের কথা বিবেচনায় এখানকার স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও সম্প্রসারণ জরুরি বলে মনে করেন জাহিদ মালেক।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাবেক সচিব হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন, ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ইয়োকো আকাসাকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।