কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মুলতবি কমিশন সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ইসি বলেন, ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবে না। সেখানে না ভোট হবে। দুইজন প্রার্থী সমপরিমাণ ভোট পেলে লটারি নয় পুনরায় নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে একটি, দুটি অথবা পুরো আসনের ফল নির্বাচন কমিশন চাইলে বাতিল করতে পারবে। এ ছাড়া ফলাফল ঘোষণার সময় সাংবাদিকরা থাকতে পারবেন বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
ইসি সানাউল্লাহ আরো বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনিয়ম হলে বাতিল করা যাবে পুরো আসনের ভোট। হলফনামায় মিথ্যার আশ্রয় নিলে বিজয়ী হলেও প্রার্থিতা বাতিল হবে।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইভিএম প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারবে প্রার্থীরা। তবে সেটা হতে হবে ব্যাংকের মাধ্যমে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও দলীয় প্রতীকে প্রার্থীদের ভোট করতে হবে বলে জানান তিনি।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৮৪টি নতুন দলের মধ্যে ২২টি দল বিবেচিত হয়েছে। এসব দলের মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলবে বলে জানান সানাউল্লাহ। এসময় ৮৩টি সংসদীয় আসনে সীমানা নির্ধারণে নির্বাচন কমিশন আপত্তি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
১ সেপ্টেম্বর টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু, বিনামূল্যে টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু
অতিরিক্ত আইজি হলেন পুলিশের ৭ কর্মকর্তা
নির্বাচনে ৮০ হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


