আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের গোলযোগপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীরা ৭ জন পর্যটককে বাস থেকে নামিয়ে গুলিবর্ষণ করে হত্যা করেছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলুচিস্তান প্রদেশে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তবর্তী দরিদ্র কিন্তু খনিজ সম্পদে ভরপুর বেলচিস্তানে কয়েক দশক ধরে নিরাপত্তা বাহিনী সাম্প্রদায়িক, জাতিগত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।
গত কয়েক বছরে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জাতিগত গোষ্ঠীর ওপর হামলা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে জনবহুল ও সমৃদ্ধ প্রদেশ এবং সামরিক বাহিনীর প্রধান নিয়োগ ঘাঁটি পাঞ্জাবের শ্রমিকদের ওপর।
ওই এলাকার ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তা সাদাত হুসেইন এএফপি’কে বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবের সাথে প্রাদেশিক সীমান্তের কাছে একটি মহাসড়ক দিয়ে বেলুচিস্তানের যাওয়ার সময় বন্দুকধারীরা পর্যটকবাহী বাসটির টায়ারে গুলি চালিয়ে থামিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে বন্দুকধারীরা বাসে উঠে যাত্রীদের পরিচয় পত্র দেখতে চায়।
হুসেইন বলেছেন, ‘পাঞ্জাব প্রদেশের যাত্রীদের বন্দুকধারীরা তুলে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করেছে।’ এখনো পর্যন্ত কেউ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি।
এএফপি’র এক হিসেব মতে, ১ জানুয়ারি থেকে কমপক্ষে ৬৭ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক বিশ্লেষণকারী সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, গত বছরটি ছিল পাকিস্তানের জন্য এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বছর। সেখানে হামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ছিল ৬৮৫ জন নিরাপত্তাকর্মী।