অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : দেশে ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ছিল ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সেই রিটার্ন দাখিলের সময় কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। সহজীকরণ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব করার লক্ষ্যে এবারে করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা তুলে দিলো।
নতুন নিয়মে, এখন বছরব্যাপী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সুবিধা পাবে করদাতারা, এমনটিই জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এনবিআরের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত ব্যবস্থা করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। করদাতাদের চাহিদা ও মতামতের ভিত্তিতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমশ সহজীকরণ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব হচ্ছে। ইতোমধ্যে এবছর ১৪ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। পাশাপাশি ১8 লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে।
আল-আমিন শেখ আরও জানান, আয়কর দিবস পরবর্তী সময়েও এনবিআর অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সেবাটি বছরব্যাপী চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আয়কর দিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিল করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত এবং কোন কর অব্যাহতি পাবে না। এছাড়া কর দিবসে যে পরিমাণ কর অপরিশোধিত থাকবে তার ওপর আয়কর আইন, ২০২৩ এর ১৭৪ ধারা অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে (সর্বোচ্চ ২৪ মাস) অতিরিক্ত কর আরোপ করা হবে।
এনবিআরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তাকে আয়কর দিতে হবে। তবে নারী ও ৬৫-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা। আর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি পাঁচ লাখ টাকা। এ ছাড়া পূর্ববর্তী কর মূল্যায়ন, শহরে বাসস্থান, গাড়ির মালিকানা, নির্দিষ্ট কিছু পেশার সদস্যপদ, ব্যবসা পরিচালনা এবং দরপত্র বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আয়কর পরিশোধ করতে হয়। এটি নিবন্ধিত কোম্পানি ও এনজিওগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলে আপনার করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক, আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে শূন্য রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সেটা না করলে আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধান আছে।