আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। মহাদেশীয় বায়ুপ্রবাহের প্রবেশদ্বার ক্ষাত চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারনের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে তৃতীয় দফায় জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এবং বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ।
এর আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে জেলায় এবং সারা দেশের মধ্যে ছিল সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল।
চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা আব্দুল ওহাব নামের এক শ্রমিক বলেন, গতকাল সন্ধার পর থেকে খুব ঠান্ডা পড়ছে। ভোরে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। হিমেল বাতারে আরও শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন হলে কাজ করা সম্ভব নয়।
আরেক শ্রমিক কলিম উদ্দিন বলেন, একদিন কাজে না আসলে বাড়ির চুলায় আগুন জ্বলবে না। বাধ্য হয়েই এই তীব্র শীতের ভোরে কাজে আসতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরে প্যাডেলচালিত রিকসা চালক আসলাম উদ্দিন বলেন, ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ফ্রীজের মধ্যে আছি। অ্যজমা সমস্যায় দীর্ঘদিন যাবত ভুগছি। সকালে বাইরে বের হতে মানা করেছেন চিকিৎসক। তবুও পেটের দ্বায়ে বের হয়েছি। তীব্র শীতে লোকজন কম থাকায় উপার্জন কম হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার থেকে জেলার উপর দিয়ে তৃতীয় দফায় মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।