নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. মো. সাজেদুল ইসলামের ব্যক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল সায়িন্টিফিক অফিসার (পিএসও) ডা. মো. আবুল কালাম আজাদকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক (কৃত্রিম প্রজনন) ডা. আব্দুর রাজ্জাক ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জাহান।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিংগাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এসে তদন্ত কাজ শুরু করেন। মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক গাড়ির ড্রাইভার মো. মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে তথ্য নেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। সেই সঙ্গে তারা সকল স্টাফদের ডেকে অফিসিয়াল তথ্য বাইরের কাউকে না দেয়ার নির্দেশনা দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ ।
সূত্র আরো জানায়, অফিসের ডাবল কেবিন পিকআপ গাড়িটিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ট্র্যাকার লাগানো আছে। সুষ্ঠু তদন্তের বেলায় ওই যন্ত্রটি যথেষ্ট থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সেটা করা হচ্ছে না।
এর আগে এ বিষয়ে ৪ ও ৫ নভেম্বর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসহ নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল “কর্পোরেট সংবাদে” ফলাও করে স্ব চিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের জের ধরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অফিসে আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব আছে। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকের অফিসিয়াল জবানবন্দি নিয়েছি। তিনদিন গাড়িটি কর্মকর্তার বাসায় নিয়ে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গাড়িটি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হবে,ব্যক্তিগতকাজে ব্যবহার অন্যায়। তদন্তে সত্য উদঘাটনে গাড়িতে ট্র্যাকার লাগানো প্রযুক্তি ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান এ কর্মকর্তা ।
এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। ওখানে যারা আছেন সুষ্ঠু তদন্ত করে জানাবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে ।