কর্পোরেট ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্যতম বি-টু-বি মার্কেটপ্লেস এবং স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপ দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এমএসএমই) ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বস্তরের এমএসএমই-এর জন্য প্রিয়শপ ইউনিলিভার, তীর, ফ্রেশ, এসিআই, পুষ্টি এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের মতো দেশ-বিদেশের নামকরা ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোকে সহজলভ্য করে তুলেছে।
প্রিয়শপের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেখানে দেশের সর্বস্তরের মুদি দোকানিরা সহজে প্রিমিয়াম পণ্য পাবে, এবং সার্বিক সরবরাহ চেইন সহজ করে গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা।
২০২১ সালে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে প্রিয়শপ বাংলাদেশের মম-এন্ড-পপ শপগুলোর বিশাল নেটওয়ার্কের ব্যবসায় ও অপারেশনাল ল্যান্ডস্কেপকে করেছে আরও সহজ ও সাবলীল।
“আমাদের উদ্দেশ্য হলো, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন ইকোসিস্টেম তৈরি করা, যা ব্র্যান্ড এবং MSMEs-এর মধ্যে কার্যকর কানেক্টিভিটি তৈরী করবে। এতে করে পুরো রিটেইল ইকোসিস্টেমই লাভবান হবে।” – বলেছেন আশিকুল আলম খাঁন, প্রিয়শপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে প্রিয়শপ বেশ সফলভাবেই কাজ করে আসছে। প্রিয়শপের সাফল্যের মূলে রয়েছে অ্যাসেট-লাইট মডেলের ব্যবহার। এই মডেলটি সাধারণত পণ্যের মজুদে অনুৎসাহিত করে, যা ব্যবসায়ীদের মূলধন ঘাটতি এবং ঝুঁকি কমাতে সহযোগিতা করে। সর্বোপরি প্রিয়শপ মুদি দোকান এবং সাপ্লাইয়ারদের মাঝে দূরত্ব ঘুচিয়ে তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করে। প্রিয়শপ এই মডেল ব্যবহার করে ঢাকা, গাজীপুর, সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে।
বর্তমানে প্রিয়শপ ২৪০ টিরও বেশি ব্র্যান্ড এবং ৮৫ হাজারেরও বেশি MSMEs-এর সাথে কাজ করছে, এবং হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেটেরিয়া সেক্টরেও তাদের কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালিত করছে। নিকট ভবিষ্যতে প্রিয়শপ আরও বিস্তার লাভ করবে।
প্রিয়শপের লক্ষ্য ৫ মিলিয়ন এমএসএমই-এর চাহিদা পূরণ করার জন্য একটি স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যা ২০ কোটি মানুষকে সেবা দিবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ১ মিলিয়ন এমএসএমইকে ক্ষমতায়ন করবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রিয়শপ এমএসএমই ক্ষমতায়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ তৈরিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার জন্য প্রতিষ্ঠানটি কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে সৌরশক্তি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের মাধ্যমে ডেলিভারি সেবা চালু করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রিয়শপ সবুজ বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করছে।