সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বন্যার্তদের ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা কমিউনিটি ফেজবুক গ্রুপের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে সাতক্ষীরা কমিউনিটি ফেজবুক গ্রুপের সদস্য ব্যানারে।
মানববন্ধনে সাতক্ষীরা কমিউনিটির মডারেটর ও সমন্বয়ক মির্জা রাফিয়া রাহাত বলেন, আমি এখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতাম। বন্যার কাজের জন্য আমরা যে টাকা উত্তোলন করেছিলাম সেখানে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা উঠেছিল। হিসাবের দায়িত্বে আমিও ছিলাম। আমাদের কাছে যে হিসাবগুলো ছিল দোকানের মেমো অনুযায়ী এডমিনের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। ত্রাণ দেওয়ার পর আরো ৩৪ হাজার টাকা ছিল। সেখান থেকে ২ হাজার টাকা আমাদের খাওয়া দাওয়া করার জন্য বলেছিলেন তিনি। বাকি ৩২ হাজার টাকা ছিল সেটা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে তার কাছে পাঠিয়েছি দেয় এবং তার রশিদ ও আমার কাছে আছে। এখানে আমার কোন দোষ নেই। এরপর আমাদের সবাইকে গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও এই গ্রুপের মডারেটর ছিলাম আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আইডি কার্ডের জন্য ৫০ টাকা করে সদস্যদের কাছ থেকে তোলা হয়েছিল।
সাতক্ষীরা কমিউনিটি গ্রুপের সদস্য নুসরাত জাহান মিরর বলেন, আমি কমিউনিটি গ্রুপের একজন স্বেচ্ছাসেবক আমরা বন্যার সময় যে টাকাটি উত্তোলন করেছিলাম এই টাকার সঠিক কোন হিসাব আমাদের এডমিন দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, যখন টাকার হিসাব চেয়েছি, তখনই আমাদের এই গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মেয়েদের মানহানি করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিবাদ করলে আমাকেও হুমকি দেয়া হয়।
কমিনিউনিটি গ্রুপের সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন (মিনহাজ) বলেন, সাতক্ষীরা কমিউনিটি গ্রুপের বন্যার জন্য টাকা উত্তোলন করা হয়। আমরা টাকা উত্তোলন করেছিলাম এক লক্ষ ১২ হাজার অনলাইন এবং অফলাইনে। ত্রানের কাজে ৭৬ হাজার টাকা খরচ করেছিলাম বাকি টাকাগুলো সম্পন্ন গ্রুপের এডমিন উম্মে ফুয়ারা রানী বাকি টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছে এবং আমাদের গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এমনকি তিনি কোন হিসাব দিতে চাচ্ছে না।
কমিউনিটি গ্রুপের সদস্য জারিন তাসনিম বলেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে সাতক্ষীরায় আর কেউ না ঘটাতে পারে এজন্য প্রতিবাদ শুরু করেছি। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ঘটনায় গ্রুপের সদস্যরা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান কনেন।