সাব্বির মির্জা, (তাড়াশ) প্রতিনিধি: দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অন্তরা খাতুন (৩৫) নামের প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী।
রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পিটিয়ে হত্যার স্বীকার অন্তরা খাতুন ওই গ্রামের বাদল সরকারের ছেলে আলমগীর হোসেনের প্রথম স্ত্রী।
বিষয়টি তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গভীর রাতে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর গৃহবধুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ আছে। পাশাপাশি স্বামী আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও ¯স্থানীয়রা জানান, গুল্টা হাজীপাড়া গ্রামে বাদল সরকারের ছেলে আলমগীর হোসেনের প্রায় ২০ বছর পুর্বে ঢাকায় পোশাক করারখানায় চাকুরী করার সময় বরিশাল জেলার মেয়ে অন্তরার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা দুজন বিয়ে করে আলমগীরের গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের ঘরে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অবশ্য মেয়েকে তারা বিয়েও দিয়েছেন।
এ দিকে, কিছুদিন পুর্বে আলমগীর হোসেন অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এনিয়ে প্রথম স্ত্রী অন্তরা খাতুন প্রতিবাদ করেন। যা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আর রোববার সন্ধ্যায় আলমগীর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আনার প্রস্তাব দিলে প্রথম স্ত্রী অন্তরা খাতুন প্রতিবাদ করেন। তখন রেগে গিয়ে স্বামী আলমগীর হোসেন অন্তরাকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন।এক পর্যায়ে অন্তরা খাতুনকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে
হত্যা করে গলায় রশিয়ে পেচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারনা চালান তিনি।
পরে তাড়াশ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা¯’স্থানে পৌছে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেন। এ সময় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে গৃহবধুর শরীরের অসংখ্য আঘাতের চিহৃ দেখতে পান এবং তাৎক্ষনিকভাবে স্বামী আলমগীর হোসেনকে আটক করেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, সোমবার সকালে গৃহবধুর মরদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য
সিরাজগঞ্জ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে গৃহবধুর স্বজনদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। তারা আসলে মামলা দায়ের সম্পন্ন করা হবে।