কর্পোরেট ডেস্ক: সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মিসেস রেহানা রহমান। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এ অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৭৪৪তম বোর্ড সভায় পরিচালকদের সর্বসম্মতিক্রমে তাকে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারপার্সন নির্বাচিত করা হয়।
সভায় পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান আকিকুর রহমান এর ভুয়সী প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রেখে ব্যাংককে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সবাই তার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
মিসেস রেহানা রহমান বাংলাদেশের একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তিনি বেঙ্গল ট্রেডওয়েজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সিএইচবি বিল্ডিং টেকনোলজিস লিমিটেডের পরিচালক এবং বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মিসেস রহমান সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে তিনি ব্যাংকের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার এই বিশাল অর্জনসমূহ বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
মিসেস রেহানা রহমান বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য এবং সাবেক চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, তিনি ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য এবং বাংলাদেশ নারী উদ্যোক্তা সমিতির সভাপতি। তিনি গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, বোট ক্লাব, পূর্বাচল ক্লাব, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এনক্লেভ ক্লাব এবং বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের সদস্য হিসেবেও সম্পৃক্ত রয়েছেন।
মিসেস রেহানা রহমান খুলনার এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বি.এ. (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তার পিতা প্রয়াত আব্দুল ওয়াজেদ খান চৌধুরী ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনি দেশের একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী এম. মশিউর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে, যারা মায়ের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।
নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য, মিসেস রেহানা রহমান ২০০৮ সালে বেগম রোকেয়া শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড এবং ২০০৯ সালে সবচেয়ে গতিশীল নারী উদ্যোক্তা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বিশ্বের অনেক দেশ সফর করেছেন ।