আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিশ্চিন্তপুরে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে তাসলিম উদ্দিন (২৩) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্নস্থানে পুড়ে গেছে।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিন্তপুর গ্রামে একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলার জানালায় থাই গ্লাস লাগানোর সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।
এদিকে, সকালেই তাসলিমকে চুয়াডাঙ্গা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। মাগুরা পৌছালে তাসলিমের অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে যোগাযোগ করে দ্রুত হেলিকপ্টারে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আহত তাসলিম উদ্দিন জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মীরপাড়ার মাদরাসা শিক্ষক রকিব উদ্দিনের ছেলে। সে খুলনার দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় তাসলিমের ডান হাতের পাতা একদম পুড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায়, হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
তাসলিমের বাবা রকিব উদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক জানিয়েছেন ২০-২৬ শতাংশ শরীরের বিভিন্ন অংশে পুড়ে গেছে। তবে তার ডান হাতের পাতা একদম পুড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে, শিরা শুকিয়ে গেছে। হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। তবে আমরা ২৪ ঘন্টা সময় চেয়েছি সিন্ধান্ত নেয়ার জন্য।
রকিব উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে মাদরাসার শিক্ষার্থী। এই মুহুর্তে যতটুকু জেনেছি, কেউ তাকে সকালে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। কোন এক বাড়ির জানালায় থাই গ্লাস লাগাতে সহযোগিতা করছিল আমার ছেলে। এসময় হয়তো অসাবধানতাবশত পাশের পোলে থাক্কা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়। এতেই দূর্ঘটনা ঘটে।
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান বলেন, তাসলিমের চাচার থাই গ্লাসের দোকান আছে। সকালে তার তাসলিমকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল নিশ্চিন্তপুর গ্রামের একটি বাড়িতে থাই লাগানোর জন্য। এসময় গ্লাসের অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেমটি পাশের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তারে লাগে। এতেই তাসলিম গুরুত্বপূর্ণ আহত হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, পিঠ, ডান হাতের পাতা ও দুই পায়ের পাতাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে পুড়ে গেছে। সব থেকে বেশি ডান হাতের পাতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।