কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে দেয়া হয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গভবনে শপথ নেয়ার পর সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে বঙ্গভবনে তাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর তাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়। দপ্তর বণ্টন ছাড়াও আজ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়। এতেই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের জায়গায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আর এম সাখাওয়াত হোসেনকে দেওয়া হয় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বঙ্গসেনা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বিজিবির (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআর) প্রধান ছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একই সময়ে তাকে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। তাকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বলার কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কর্পসে কমিশন করেন। একজন গানার হিসেবে কর্মজীবন শুরুর পর তিনি কমান্ডিং টু আর্টিলারি ব্রিগেডস এবং ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সামরিক একাডেমির প্রশিক্ষকও ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এরপর তিনি ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডে একটি গ্রুপ টেস্টিং অফিসার (জিটিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক ও স্টাফ হিসেবে তিনটি ভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে কাজ করেছিলেন তিনি। জাহাঙ্গীর আলম ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজে এবং ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের স্নাতক।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহে তার উত্তরাধিকারী মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রী নাজনীন হোসেন শাকিল শহীদ হন। এরপর কিউএমজি হিসেবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন। এরপর ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া রয়েছেন ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন।
আরও পড়ুন: