এন জি চক্রবর্তী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ৩২তম অংশ
দ্বিতীয় ভাগ।
পঁচিশ অধ্যায়।
বিবিধ আয় ও ব্যয় হিসাব।
কখনো লেজারে আবার কখনো আলাদা খাতায়ও লিখে রাখতে পারেন।
কিছু মালিক আলাদা একটা কাগজে তার আয়ব্যয়ের হিসাব সংক্ষেপে লিখে রাখেন। কেউ কেউ আবার বিশেষ বিশেষ খরচসহ সব খরচই এ তালিকায় লেখেন। আবার কেউবা এই বিশেষ খরচের আলাদা হিসাব রাখেন আর সেখানে ’দান’ এর মত বিশেষ খরচগুলো লিখে রাখেন। এ ধরণের বিশেষ বিশেষ খাতে যে লেনদেনগুলো হয় তার ডেবিট ক্রেডিট ওই ’বিশেষ হিসাব’ এই লিখে রাখেন। বছর শেষে যখন লেজার হিসাবগুলো ক্লোজ করার দরকার হয় তখন সমস্ত খরচের ব্যালেন্স মালিকের মূলধন হিসাবে স্থানান্তরিত হয়।
বাস্তবিক পক্ষে যে রকমটা এর আগেও বলেছি, বাড়ির যাবতীয় খরচও ওই বিশেষ হিসাবের মধ্যে রাখা যায়। অবশ্য যদি আপনার বিশেষ কোন তথ্য আলাদাভাবে জানার প্রয়োজন হয় তবে ভিন্ন কথা। এমনকি কত টাকা জুতা কেনার পেছনে খরচ করলেন তার হিসাবও আলাদা রাখতে পারেন, তবে তার কোন দরকার হয় কি?
সাধারণভাবে মোদ্দা কথা হচ্ছে লেজারের হিসাব সংখ্যা যত কম রাখতে পারেন ততই মঙ্গল। দেখতে হবে আপনি কোথায় কাজ করছেন। ধরুন এমন একটা জায়গা যেখানে মালিকের নিজে একটা লেজার রাখাই প্রচলিত। বছর শেষে তিনি তার নিজের লেজারের সংগে দোকানের বা ব্যবসার লেজারটা মিলিয়ে দেখতে পারেন। এত সমালোচনার কিছু নেই, তবে তাতে কাজের পরিমান বেড়ে যায়। (চলবে)