স্পোর্টস ডেস্ক : প্যারিস অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা-মরক্কোর ম্যাচটা ছিলো নাটকীয়তায় ভরপুর। ফুটবলে আর্জেন্টিনা-মরক্কো ম্যাচে ২-২ সমতায় খেলা শেষের পথে থাকলেও দর্শকদের ঝামেলায় শেষ বাঁশি বাজাতে পারেননি রেফারি। পরবর্তীতে প্রায় দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলেও বাতিল করা হয় আর্জেন্টিনার দেওয়া দ্বিতীয় গোল। যার ফলে নিশ্চিত ড্র করা ম্যাচে নাটকীয় হার দেখতে হয় আলবিসেলেস্তেদের।
সেঁত এতিয়েনে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে মরক্কোর বিপক্ষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। তখনই অতিরিক্ত সময় হিসেবে আরও ১৫ মিনিট যোগ করেন রেফারি। তাতেও গোল করে ম্যাচের সমতা ফেরাতে পারেনি তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনা সমতাসূচক গোলের দেখা পায় বাড়তি সময়ের ১৬তম মিনিটে গিয়ে। এই গোলের পর সবাই ধরে নিয়েছিল ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। এক পর্যায়ে মরক্কোর সমর্থকেরা মাঠে বোতল ছুঁড়ে মারতে শুরু করলে স্থগিত করা হয় ম্যাচটি। স্থগিত হয়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘন্টা পর খেলোয়াড়েরা আবার মাঠে ফেরে এবং রেফারি আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি ভিএআর অফসাইডের কারণে বাতিল করে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ওতামেন্দি-আলভারেজদের।
বুধবার (২৪ জুলাই) ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সোফিয়ানে রাহিমির গোলে ২-০ গোলের লিড পেয়ে যায় মরক্কো। সেখান থেকেই পরবর্তীতে ম্যাচে ফেরে আর্জেন্টিনা। রাহিমির দুই গোলের জবাব আর্জেন্টিনা দিয়েছে ৬৮ মিনিটে গুইলিয়ানো সিমিওনের গোলে। তবে নানা নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা।
এর আগে, যোগ করা সময়ে মেদিনা বল জালে পাঠানোর পরই আর্জেন্টিনা দলকে লক্ষ্য করে কাপ ও বোতল ছুড়ে মারেন দর্শকদের একটা অংশ। এমনকি মরক্কোর জার্সি পরা বেশ কিছু দর্শক ঢুকে পড়েন মাঠে। দ্রুতই তাদের সরিয়ে নেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। এগিয়ে আসে পুলিশও। তাৎক্ষণিকভাবে খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে সরিয়ে নেন রেফারি।
পরবর্তীতে দর্শকদের মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। তখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না, ম্যাচ শেষ কী না। এরপর পুরো স্টেডিয়াম খালি করে জানানো হয় খেলা হবে। মিনিট তিনেক খেলা হলেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি আর্জেন্টিনা।